চন্দ্রদীপ রিপোর্ট : পদ্মা সেতু রেল সংযোগ উদ্বোধনের আগে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের রেললাইনে (ট্রায়াল রান) পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রায়াল রান আগামী ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রকল্পের একাংশ উদ্বোধনের জন্য সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে সময় চাওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ঢাকা থেকে মাওয়া ৪০ কিলোমিটার, দ্বিতীয় ধাপে মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এবং তৃতীয় ধাপে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার পথে রেললাইন বসানোর বেশির ভাগ কাজ শেষ। প্রকল্পের তৃতীয় অংশে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ৮৭ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে গত জুন মাস থেকে। তবে আগস্ট মাস পর্যন্ত ভাঙ্গা থেকে যশোর অংশে ১৫ কিলোমিটার রেললাইন বসে গেছে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের জুনে আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পদ্মা সেতু রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা রেললাইন চালু হলে প্রথমে ঢাকা, মাওয়া, পদ্মা, শিবচর এবং ভাঙ্গা রেলস্টেশন খুলে দেওয়া হতে পারে। এই রেললাইন উদ্বোধনের পরবর্তী এক সপ্তাহ পর থেকে শুরুতে এক জোড়া ট্রেন চালানোর কথা রয়েছে। এক মাস পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং আরও কিছু স্টেশনও খুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া তিন মাসের মধ্যেই সব স্টেশনের কাজ এবং সিগন্যালিংয়ের কাজও শেষ হয়ে যাবে। তখন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। অর্থাৎ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধন হলেও পুরোপুরি অপারেশনে যেতে তিন মাস সময় লাগবে।