শিরোনাম

তামাক কোম্পানিগুলো ভয় দেখিয়ে চলে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

Views: 6

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, তামাক কোম্পানিগুলো জনগণকে “জুজু” ভয় দেখিয়ে নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, সরকার তামাকজাত পণ্যের বিক্রি থেকে যে পরিমাণ আয় পায়, তার চেয়ে স্বাস্থ্য খাতে তামাকের কারণে ব্যয় বেশি হচ্ছে।

আজ (১৫ জানুয়ারি) সিরডাপ মিলনায়তনে “জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক কর নীতি বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়” শীর্ষক একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, তামাক উৎপাদন ও চাষের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে নদী অঞ্চলগুলোতে, যেমন হালদা এবং তিস্তা, যেখানে তামাক চাষ হয়, সেসব এলাকাতে কীটনাশক ও সার ব্যবহারের কারণে মাছের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।

ফরিদা আখতার বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো দাবি করছে যে প্রায় ১৫ লক্ষ তামাক বিক্রেতা এ পেশার সঙ্গে জড়িত, কিন্তু তাদের বেশির ভাগই শিশুশ্রমে নিয়োজিত। তামাক বিক্রির সাথে এত লোক জড়িত থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এটি সত্যিই কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

সেমিনারে বক্তারা তামাক কর কাঠামো এবং তামাক কোম্পানির কৌশল বিশ্লেষণ করে। তারা জানান, তামাক থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয় স্বাস্থ্য খাতে, যা দেশে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে।

বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)’র টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মীর আলমগীর হোসেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অপূর্ব কুমার মন্ডল এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের কর আরোপের ক্ষেত্রে বর্তমানে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা সরকারকে গুরুত্বসহকারে মোকাবেলা করতে হবে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *