বরগুনার তালতলী থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে মো. আল ইমরান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে স্থানীয় জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে। তার নেতৃত্বে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রধারীরা এলাকা ছাড়তে শুরু করেছে। ফলে সাধারণ মানুষ এখন পুলিশকে আরও বেশি সহায়তা হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।
মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ
বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও অন্যান্য অপরাধ বেড়ে চলেছে। তবে, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল ইমরান তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে মাদক, অস্ত্র উদ্ধারসহ চুরি, ডাকাতি এবং হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাধারণ মানুষের সচেতনতা ও আস্থার পরিবর্তন
মাদক থেকে যুবসমাজকে রক্ষার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তালতলী থানা পুলিশ। এতে করে, একসময় পুলিশের প্রতি যে আস্থা ছিল না, তা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ পুলিশের প্রতি আরও বেশি আস্থা রাখতে শুরু করেছে, এবং পুলিশ তাদের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক
তালতলী থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মো. আল ইমরান জানান, “বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সরাসরি থানায় এসে আমাকে দেখা করতে পারেন, এতে তারা বুঝতে পারেন পুলিশ তাদের সেবা দানে আন্তরিক।” তার নেতৃত্বে, থানায় আসা জনগণ কোন ধরনের মধ্যস্থতাকারী বা দালালের প্রয়োজন ছাড়াই সরাসরি পুলিশ সেবা পাচ্ছেন।
স্থানীয় নেতাদের প্রশংসা
তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক বলেন, “তালতলী থানার বর্তমান ওসি আল ইমরান একজন ভালো মানুষ। তার যোগদানের পর থেকে এই থানাটি সাধারণ মানুষের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে।”
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আল ইমরান বলেন, “বরিশাল ডিভিশনের ডিআইজি স্যার ও বরগুনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয় আমাকে জনগণের সেবা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন, তাই আমি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করছি।”
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম