মো:আল-আমিন,পটুয়াখালী: বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র, সূর্য উদয় ও সূর্য অস্ত এর বেলা ভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা।
দিন দিন বিশ্বের পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা পরিচিতি পাচ্ছে, তার সাথে পরিচিতি পাচ্ছে কুয়াকাটার অপূর্ব সৌন্দর্যের স্থান তিন নদীর মোহনা।
দেশ-বিদেশ থেকে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পর্যটক কুয়াকাটা আসলে সবার আগে যে দর্শনীয় স্থানটি ভেসে ওঠে সেটি হল তিন নদীর মোহনা। নামের সাথেও মিল রয়েছে সৌন্দর্যের দর্শনীয় স্থানটির।
গভীর সমুদ্রের সাথে তিনটি নদীর মিল থাকার কারণে স্থানীয় জেলেরা এটার নামকরণ করে তিন নদীর মোহনা। ধীরে ধীরে পর্যটকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছে এই নামটি, গভীর সমুদ্রের সাথে মিলেছে সোনাতলা নদী, শিব্বিরিয়া নদী ও সকলের পরিচিত আন্ধারমানিক নদী। এক একটি নদী তার নিজের ব্যক্তিগত রূপ ছড়িয়েছে এবং ছড়িয়েছে তার সৌন্দর্য।
কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে, পশ্চিম দিকে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তিন নদীর মোহনা, তিন নদীর মোহনা দেখার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেই আপনার চোখের সামনে ভেসে আসবে আরো কয়েকটি কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান। সব পেরিয়ে পৌঁছে যাবেন তিন নদীর মোহনায়। উল্লেখযোগ্য তিন নদীর পাশে দাঁড়িয়ে আপনি উপভোগ করতে পারবেন সূর্য অস্ত।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী মো: রাজু বলেন, তিন নদীর মোহনা পর্যটকসহ স্থানীয়দের কাছে অপরূপ সৌন্দর্যের স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যটকের আনন্দ মুহূর্তে জমজমাট থাকে তিন নদীর মোহনা।
ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক জানান, আমরা সবসময় পর্যটকদের সেবার জন্য প্রস্তুত থাকি, পর্যটকদের সাথে কথাবার্তায় পর্যটকরা প্রথমেই তিন নদীর মোহনার সৌন্দর্যের কথা জানতে চায়।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সব সময় সজাগ রয়েছি এবং তিন নদীর মোহনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা রাখার জন্য, টুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।