বরিশাল অফিস :: দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশে গত তিন-চার দিন ধরে হিমেল হাওয়া, প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা অব্যাহত রয়েছে। তবে উত্তরাঞ্চলের তুলনায় তাপমাত্রা কিছু বেশি হলেও শীতের তীব্রতা মোটেও কম নয় বরিশালে। শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি ফসলের উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে চাষীরা’।
কীটনাশক স্প্রে করলে তা কুয়াশায় ধুয়ে যাচ্ছে, ফলে সুফল মিলছে না বলে দাবী কৃষকদের।
পিরোজপুর,ঝালকাঠি ও বরিশালের বাকেরগঞ্জের কৃষকদের অভিযোগ, অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও রোদ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধানের চারা, ঝরে পড়ছে সরিষার ফুল। তীব্র ঠান্ডায় কৃষক জমিতে কাজ করতে পারছে না। অনেকে বোরো বীজতলায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে কিংবা নানা রকমের কীটনাশক স্প্রে করেও তেমন কোনও সুফল পাচ্ছেন।’
চলতি মৌসুমে ছয় জেলায় শীতকালীন সবজি চাষের জন্য ৪০ হাজার ৪১১ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ হাজার টন সবজি। মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে দাম ভাল থাকলেও অব্যাহত ঘন কুয়াশার কারণে সিম ও ফুলকপি ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, ডগা পঁচা রোগে গাছের ক্ষতি হয়েছে, হ্রাস পেয়েছে উৎপাদনও।
অন্যদিকে, বরিশালের বানারীপাড়ার বাইশারীতে ভাসমান সবজি চাষীদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি বলে দাবী কৃষকদের।
আবুল হাওলাদার নামের এক কৃষক জানান,’আমরা এখানের উদ্যানে করলা, টমেটো, বেগুন ও সিমসহ শীতকালীন প্রায় সব সবজির চাষ করেছি। কিন্তু কুয়াশার কারণে গাছের গোড়া পঁচে বেশকিছু সবজি বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, বরিশাল বিভাগের ৪১১ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে।বিভাগের ৬ জেলায় ৫১ হাজার টন শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে কুয়াশা ও শীতের প্রভাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।