পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর তেঁতুলিয়া নদীর তীরে ভেসে এসেছে অর্ধগলিত একটি মরদেহ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দারভাঙা গ্রাম সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীতে ভাসমান একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। চেহারায় বিকৃতি ঘটায় এখনো মরদেহটির কোন পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
স্থাীয়রা জানায়, তেঁতুলিয়া নদীর তীর দিয়ে আসার সময় পচাঁ গন্ধ নাকে আসলে এগিয়ে গিয়ে একটি মরদেহ দেখতে পাই। পরে ইউপি সদস্য (মেম্বার)কে ফোন দেই। তিনি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মরদেহটিতে পচন ধরে বিকৃত হওয়ায় চেহারা চেনা যাচ্ছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শুক্কুর মিয়া জানান, ওই ইউনিয়নের দারভাঙা গ্রাম সংলগ্ন নদীর পাড়ে একটি অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। আমাকে ফোনে বিষয়টি জানালে আমি বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরবর্তীতে তারা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে মুঠোফোনে চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. নাজমুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ধারণা করছি মরদেহটি ১৫-২০ দিন আগের। একদম পচে-গলে গেছে। মনে হচ্ছে কিছুদিন আগে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ এলাকার জেলে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজদের কেউ হবে হয়তো।
ইনচার্জ মো. নাজমুল আরো জানান, ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানোর ব্যাবস্থা নিচ্ছি। অন্যদিকে নিখোঁজ জেলে পরিবারের লোকদেরও খবর দেয়া হয়েছে। তারা শনাক্ত করতে পারলে পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করা হবে।