চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ত্বকের সমস্যার সমাধানে ময়েশ্চারাইজার, সিরাম, টোনার, ফেসওয়াশ, ফেসিয়াল এবং বিউটি ট্রিটমেন্টের মতো নানা পণ্য ব্যবহৃত হলেও, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের গুরুত্বও অস্বীকার করা যায় না। বর্তমান সৌন্দর্য সচেতন সমাজের মধ্যে এসব স্কিন কেয়ার পণ্য জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও, ত্বককে সুস্থ রাখতে অভ্যন্তরীণ যত্ন অধিক কার্যকর।
আমাদের খাদ্যাভ্যাস শুধু স্বাস্থ্যের উপরই নয়, বরং ত্বকের উপরও প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, ভাজা-পোড়া খাবার বেশি খেলে ত্বকে পিম্পল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে আগে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ভারতীয় চিকিৎসক কর্ণ রাজন সম্প্রতি তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, “ত্বকের উন্নতি করতে চাইলে স্কিনকেয়ার ছাড়াও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। রঙিন ফল ও শাক-সবজি অন্ত্রের জন্য উপকারী, যার প্রভাব ত্বকেও পড়ে। টমেটো, বেল পেপার, গাজর খেলে ত্বকে লক্ষণীয় পরিবর্তন আসে।”
একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, যেসব শিশু একজিমা রোগে ভুগছে তাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ঘাটতি রয়েছে। প্রোবায়োটিকসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ল্যাকটোবাইসিলি এবং বাইফিডোব্যাকটেরিয়াম পাওয়া যায়, যা একজিমা আক্রান্ত শিশুদের ত্বকের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।
ডাক্তার রাজন আরও বলেন, “খাদ্যে প্রিবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত। এই ধরনের খাবারে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ফলে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগের উৎপাদন বেড়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রভাবিত হয়।”
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নির্দিষ্ট কোনো খাবার ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর নিশ্চয়তা দেয় না। তবে রঙিন ফল ও শাক-সবজি এই ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। বিশেষ করে উচ্চ প্রিবায়োটিকস সম্পন্ন এবং বিভিন্ন রঙের খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
সুতরাং, পেটের যত্ন নিলে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়। ত্বকে সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে খাদ্যতালিকা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে ত্বকের সমস্যাগুলি সমাধান করা সম্ভব।
**তথ্যসূত্র:** হিন্দুস্তান টাইমস