চন্দ্রদ্বীপ আন্তর্জাতিক :: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিনের মেয়ে।
আলজাজিরার এ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে শুক্রবার থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী এবং সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন থাকসিনের মেয়ে পেতংতার্ন। তিনি দেশটির পার্লামেন্টের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়েছেন।
পেতংতার্ন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তার ফুফুও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার থাকসিনের দল ফেউ থাই পার্টি পেতংতার্নকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয়। জোটের অন্য ১০ দলের কেউ কোনো প্রার্থী দেয়নি।
২০২২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের আগে পেতংতার্ন তার পরিবারের হোটেল ব্যবসা দেখভাল করতেন। গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে দলীয় কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে প্রগতিশীল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। তারা অঙ্গীকার করে, দেশে রাজতন্ত্রের প্রভাব কমাবে এবং দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকা একচেটিয়া ব্যবসা ও শিল্পখাতগুলোকে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
দীর্ঘ সময় ধরে থাইল্যান্ডে সামরিক বাহিনী, রাজতন্ত্রের প্রতি অনুগত রাজনৈতিক দল ও থাকসিনের সমর্থক এবং সংস্কারবাদী দলগুলোর মধ্যে টানাপড়েন চলছে।
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত আগের প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাভিসিনকে বরখাস্ত করার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে বাধ্য হয় দেশটির পার্লামেন্ট।
শ্রেত্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার মন্ত্রিসভায় এমন একজনকে স্থান দিয়েছিলেন, যিনি এর আগে ফৌজদারি অপরাধে ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।