থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে বরিশাল শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) এই রাতের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যাতে নগরবাসী সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশে নতুন বছর উদযাপন করতে পারে।
এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে পুরো শহরে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং নগরীর প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যদের নজরদারি থাকবে, পাশাপাশি সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হবে। পুলিশের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে ফানুস ও আতশবাজি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদের বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে।
নগরীজুড়ে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষ করে ফানুস ও আতশবাজি থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে বরিশাল ফায়ার স্টেশনকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং র্যাবও এদিন কঠোর অবস্থানে থাকবে।
এছাড়া, উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না হওয়ার জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশন ও পুলিশ কমিশনার কর্তৃক আরও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে থার্টি ফার্স্ট নাইটে বরিশালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম নিরাপত্তা ব্যবস্থার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। যদিও কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে নগরীর জন্য বিশেষ কোনো হুমকি সঙ্কেত পাওয়া যায়নি, তবুও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম