বরিশাল অফিস: দেশের সংরক্ষিত পুরাকীর্তির একটি বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর ভবন। তবে প্রচার-প্রচারণার অভাবে উদ্বোধনের কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও জাদুঘরে বাড়েনি দর্শনার্থীদের সংখ্যা। এক প্রকার ঝিমিয়ে পড়েছে জাদুঘরের কার্যক্রম। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কোন কার্যালয় নেই বরিশালে। এ কারণে খুলনা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধিনে এটি চলে।
১৭৭১ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানী লাভের পর এই বঙ্গে এটিই তাদের প্রথম কোন প্রশাসনিক ভবন। পরবর্তীতে এই ভবন থেকেই কালেক্টরেট কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়, যেটি আজকের বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর। প্রায় দু’শো বছরের পুরোন বরিশালের এই ভবনকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২০১৫ সালে ঘোষণা করা হয় বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর হিসেবে।
দ্বিতল এই ভবনটিতে রয়েছে ১৪টি কক্ষ। এর মধ্যে দ্বিতীয় তালায় সাজানো ৯টি গ্যালারিতে শোভা পেয়েছে গুপ্ত যুগের পোড়ামাটির নিদর্শন, প্রস্তর নির্মিত পাল যুগের বুদ্ধমূর্তি, মুসলিম যুগের শিলালিপি, পদ্মখচিত সুলতানি যুগের ফলকচিত্র, এছাড়াও রয়েছে ১১-১২ শতকের পাথর আর ধাতব দ্রব্যের নির্মিত মূর্তি ও তৈজসপত্র।
প্রাচীন নিদর্শন থাকলেও এই বিভাগীয় জাদুঘরটি পরিচিত হতে পারেনি বরিশালবাসীর কাছে। যারা আসেন তারাও হতাশ হয়ে ফিরে যান। দর্শনার্থী কম হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করছেন জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের জাদুঘর সম্পর্কে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন বরিশালের সচেতন মহল।