মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালী জেলার দশমিনায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত মাসের ২৭ তারিখ স্থিতিবস্থা বজায়ের আদেশ কর্যকর ও বলবৎ রাখার জন্য আদালত দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অবহিত করেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মো. রমিজ।
তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে নিজ ক্ষমতায় বাউন্ডারি ওয়াল ও বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মো. আব্দুল আজিজ মিয়া।
জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের মো. রমিজ ১৯৮৮ সালে এস এ ৫২ নম্বর খতিয়ানের ১১টি দাগ দিয়ে মোট সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি আবু বকর মৃধার কাছ থেকে নগদ টাকায় জমি ক্রয় করে ভোগ দখল বুঝিয়ে নেন। জমি ক্রয়ের প্রায় ১০ বছর পর ১৯৯৭ সালে মূল মালিক মো. রমিজকে নাবালক দেখিয়ে তার বাবা মো. আবদুর রহিমের কাছ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজ ও তার ছেলে এ বি এম সালেহ সুমনের নামে সমহারে পৃথক দুটি দলিল করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে চেয়ারম্যান আজিজ মিয়া ঘর তুলতে গেলে জমির মূল মালিক মো. রমিজ ঘটনাটি জানতে পারে। এ ঘটনায় রমিজ দুটি দলিল বাতিল চেয়ে ২০১২ সালে আদলতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজিজ মিয়ার পক্ষে জজ কোর্ট রায় প্রদান করেন। অপর মামলায় মূল মালিক রমিজের পক্ষে আদালত রায় প্রদান করেন। মামলার রায়ের বিরুদ্ধে রমিজ হাই কোর্টে সিভিল রিভিশন মামলা দায়ের করলে ২০২১ সালে আদালত স্থাগিতাদেশ রুল জারি করেন। অপর মামলায় এ বি এম সালেহ সুমন রায়ের বিরুদ্ধে ছানি দাখিল করেন যা বর্তমানে বিচারাধীন।
অপরদিকে, রমিজ সব নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার জন্য আদালতে স্থাগিতাদেশের আবেদন করলে চলতি বছরের ৬ মার্চ আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এদিকে, দুই মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তা না মেনে নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় রমিজ পুনরায় আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত আগেও স্থাগিতাদেশ বহাল রাখে এবং গত ২৭ তারিখে দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দিয়ে থাকেন।