পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
নদীর ওপর ঝুলছে সেতু। কিন্তু সেই সেতু কাজে আসছে না। ১৫০ ফুট সেতুর অংশ বিশেষ ধসে পড়ায় তা ব্যবহার হচ্ছে না। তাই খেয়া নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপারে সময়-অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে। সেতু ধসের দুই মাস পেরিয়ে গেছে। সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা খেয়া নৌকায় নদী পারাপার হচ্ছে।
সাত বছর তিন মাস আগে পটুয়াখালীর দশমিনার খারিজা বেতাগি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন সুতাবাড়িয়া শাখা নদীর উপর লোহার সেতুটি বিধ্বস্ত হলেও এখনো মেরামত কিংবা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেই।
জানা যায়, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সুতাবড়িয়া শাখা নদী। নদীর পূর্ব পাড়ে মরদানা, গরমআলী, জাফরাবাদ গ্রামসহ খারিজাবেতাগী ও তফালবাড়ীয়া গ্রামের একাংশ। আর পশ্চিমপাড়ের গ্রামগুলো হচ্ছে রামবল্লভ, দাবাড়ি, চিংগরীয়া, চন্দ্রাবাজসহ খারিজাবেতাগীর এবং তফালবাড়ীয়ার অপর অংশ। এ অবস্থায় ১১ গ্রামবাসীর সরাসরি উপজেলার সাথে সহজ যোগাযোগ, লেখাপড়া, জরুরি স্বাস্থ্য সেবাসহ সব কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে উপজেলার ঠাকুরের হাট সংলগ্ন পরিত্যাক্ত লোহার সেতুটি সড়িয়ে এনে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের জমির মৃধা বাজার এলাকায় স্থাপনে ব্যয় হয় ১০ লাখ টাকা।
বদ্যালয়ে পাঠদান নিতে শিক্ষার্থীরা ছোট্ট একটি ডিঙ্গি খেয়া নৌকায় নদী পাড় হচ্ছে।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মনিরা আক্তার বলে, ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক স্কুল। সেতু ভেঙে পরায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড় হয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক হিরন আহমেদ বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২০০ শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে। সেতুটি যখন ভেঙে পরেছিল তখন একটি শিশু মারা যায়।
বেতাগিসানকিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মসিউর রহমান ঝন্টু বলেন, নতুন করে একটি সেতুর জন্য দশমিনা উপজেলা পরিষদ ও এলজিইডি কার্যালয়ে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মকবুল হোসেন বলেন, বালু ভর্তি কার্গোর ধাক্কায় লোহার সেতুটি বিধ্বস্ত হয়। স্থান পরিবর্তন করে আরসিসি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু মাটি পরিক্ষা করে দেখা যায় ব্রিজ নির্মানের উপযোগী নয় স্থানটি।