পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: দশমিনায় ব্রীজ মেরামতের নামে লক্ষাধিক টাকার অনিয়মের অভিযোগ
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার ১নং রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদের বাস্তবায়নাধীন দুইটি ব্রীজের মেরামত কাজ হয়নি সিকি ভাগ, লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট।
অত্র ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লাল গাজীর খালের উপর দুইটি ব্রীজ মেরামত বাবদ ২০২০-২১ অর্থ বছরে মোট ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৭ শত ৯৮ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন “লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ” বা লজিক প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান ঐ রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদ।
প্রকল্প দুইটি হচ্ছে –
১. উত্তর রনগোপালদী আঃ রহিম খান বাড়ীর সংলগ্ন লাল গাজীর খালের উপর ব্রীজ মেরামত এবং
২. আঃ খালেক মৌলভী বাড়ীর সংলগ্ন ব্রীজ মেরামত। ব্রীজ দুইটির উত্তর রনগোপালদী আঃ রহিম খান বাড়ীর সংলগ্ন লাল গাজীর খালের উপর ব্রীজটি নামমাত্র কাজ হলেও, তিন-চার মাস যেতে না যেতেই ভেঙে পরেছে ব্রীজের এপ্রোজ। হয়ে পরেছে চলাচলের অনুপযোগী। বীজ সংলগ্নেই রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কোমলমতি শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অত্যান্ত দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, অত্র ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মহসিন মেম্বার এ কাজটি করেন।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, ঐ মেম্বারকে শত অনুরোধ করলেও, সে কোন কর্নপাত না করে, একহাটু পানির মধ্যে অত্যান্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, আস্তর বালুর পরিবর্তে ভিটিবালু দ্বারা এ কাজটি যেন তেন ভাবে করে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, মাত্র কয়েকটি ভিম স্যাম্পলস্বরুপ রেখে বাকী সবা ভিম অর্থাৎ রহিম খান বাড়ীর সামনের ব্রীজের অধিকাংশ লোহার যান্ত্রাংশ গোপনে সরিয়ে ফেলেছে। অপরদিকে আঃ খালেক মৌলভী বাড়ীর সংলগ্ন ব্রীজটির মেরামতের কথা বলা থাকলেও, কোন কাজই করেনি। রহিম খান বাড়ীর সামনের ব্রীজটি ভাঙ্গার ফলে যে আরসিসি স্লাপগুলে পাওয়া গেছে, সেখান থেকে মাত্র তিনটি স্লাপ ঐ খালেক মৌলভী বাড়ীর সামনের ব্রীজে বসিয়ে দিয়েই শেষ করেছেন দুইটি ব্রীজের মেরামতের কাজ। যার জন্য বরাদ্ধছিল ৯,৫৪,৭৯৮ টাকা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সর্বমোট তিন লাখ থেকে চার লাখ টাকার কাজও করেনি ঐ সিপিসি। অথচ এ কাজটি দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী এবং লজিক প্রকল্পের তদারকি করে দেখার কথা থাকলেও, কোন দিন কোন প্রশাসনের লোকজন যায়নি। তাই সিপিসি তার ইচ্ছে মত দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন না করে বিল নিয়ে চলে যায়। এমর্মে এলাকাবাসী একটি লিখিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ডাকযোগ প্রেরন করেন বলেও জানান।
তাদের দাবী, সরেজমিনে তদন্ত করলে এর বাস্তব চিত্র ফুটে উঠবে বলে জানান এলাকার ভুক্তভোগী জনগন।