মো:আল-আমিন, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের পূজাখোলা, সদর রোড ও নলখোলায় অবৈধভাবে সড়কের দুই পাশে অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ির স্ট্যান্ড গড়ে তোলায় যানজটে নাকাল হচ্ছেন পথচারীরা।
অবৈধভাবে এ স্ট্যান্ডের ফলে চলমান স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের ভোগান্তি চরমে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পূজাখোলা – নলখোলা এলাকায় পূর্ব দিক থেকে ঢোকার প্রবেশপথ এটি। পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে দশমিনা-গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা তিনটি সড়কের মাথা এসে নলখোলা এলাকায় মিশেছে। তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এ মোড়ে সড়কের দুই পাশসহ চলাচলের জায়গাতেও সারি সারি অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। পথচারীরা কষ্ট করে মোড়টি পারাপার হচ্ছেন। সড়কের দুই পাশে অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় অনেকে ঝুঁঁকি নিয়ে সড়কের মাঝখান দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বড় কোনো গাড়ি এলেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
দশমিনা সদরে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আব্দুর রসিদ তালুকদার সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও ডা: ডলি আকবর মহিলা কলেজ রয়েছে। আর এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শুরু ও ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের ব্যাপক যানজটে আটকে থাকতে হয়।
দশমিনা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, পুরো সড়কটি দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। পূজাখোলা মোড় থেকে শুরু করে নলখোলা সড়কের দুই পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। হেঁটেও যাওয়ার উপায় থাকে না। ফুটপাথসহ সব জায়গায় এসব গাড়ি রাখা হয়। দ্রুত এ সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
গাড়ি রাখার বিষয়টি স্বীকার করে দশমিনা থানার ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, থানা পুলিশের উদ্যোগে অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রা চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট পরতে বাধ্য করা হবে। আর অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রা থেকে যাত্রীরা যাতে ডান পাশে না নামতে পারে সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাফিজা নাজ নীরা বলেন, অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রার জন্য নলখোলা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে স্ট্যান্ডের জায়গা নির্ধারণ ও বালু বরাটের কাজ শেষ করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন স্ট্যান্ডে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে।