পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দশমিনায় আদালত চত্বরে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
স্বামীর করা মামলায় আজ রোববার দুপুরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হলে তাঁকে গালাগাল করা হয়। এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করেন তাঁর স্বামী।
ভুক্তভোগীর নাম মোসা. রুনা লায়লা। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কাশেম আলী শিকদারের মেয়ে। দুই বছর আগে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের মো. মিজানুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি দশমিনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা করেন। আজ রোববার সকালে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন রুনা লায়লা। পরে আদালতের সামনের রাস্তায় তাঁকে গালমন্দ করেন মিজানুর। এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেদম মারধর করা হয়।
রুনা লায়লা বলেন, ‘আদালতের সামনের রাস্তায় মিজানুর আমাকে গালাগাল করেন। এর প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করা হয়। এ সময় আমি এক উকিলের চেম্বারে গিয়ে উঠলে সেখানেও আমাকে মারধর করে। আমি আমার উকিলকে বিষয়টি জানিয়ে আদালতে বিচার প্রার্থনা করব।’
আরো পড়ুন : রাঙ্গাবালিতে সাইক্লোন শেল্টারের দেড় বছরের কাজ শেষ হয়নি ৪ বছরেও
এ বিষয়ে রুনা লায়লার আইনজীবী সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতে মামলা হয়েছে। বিচারক বিষয়টি দেখবেন। আমার মক্কেল জামিনে মুক্ত হওয়ার পর রাস্তায় প্রকাশ্যে মারধর করার বিষয়টি দুঃখজনক। আমি এ বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হব।’
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘যা দেখার তো দেখেছেনই, আর কী বলব।’ এই কথা বলে চলে যান তিনি।