শিরোনাম

দুই-আড়াই টাকার ফুলকপি হাত বদলে পটুয়াখালীতে ২৫-৩০ টাকা

Views: 9

পটুয়াখালীর বাজারে ফুলকপির দামে বড় বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকরা ফুলকপি বিক্রি করছেন মাত্র ২-৩ টাকায়, অথচ শহরের বাজারে সেই ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। এমন মূল্যবৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) পটুয়াখালীর নিউমার্কেট, পুরান বাজার, নতুন বাজার, কলাতলা ও হেতালিয়া বাধঘাটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, গুনগত মানের ওপর ভিত্তি করে ফুলকপি ২০-৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে উৎপাদন স্থানের তুলনায় এমন দামের পার্থক্যে অনেক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিক্রেতারা দাবি করছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বাড়ছে।

শিমুলবাগ এলাকার বাসিন্দা মোহন খন্দকার পৌর নিউমার্কেটে সবজি কিনতে এসে বলেন, “কৃষকরা যেখানে ২-৩ টাকায় ফুলকপি বিক্রি করছে, আমাদের কিনতে হচ্ছে ৩০ টাকায়। জিজ্ঞেস করলেই বলা হয়, ডিজেলের দাম বেশি তাই সবজির দাম বেশি। এই অবস্থায় কৃষকরা উৎপাদনে অনাগ্রহী হবে আর আমাদের পকেটের ক্ষতি হবে। আমার মতে, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি রয়েছে।”

নিউমার্কেটের খুচরা বিক্রেতা কাওসার আহমেদ বলেন, “আমরা পাইকারি বাজার থেকে ১৫ টাকায় কিনে ২০ টাকায় বিক্রি করি। লাভের পরিমাণ খুবই সীমিত।”

একই বাজারের বিক্রেতা মো. শুক্কুর জানান, “আমরা যেভাবে পাই, সেভাবেই বিক্রি করি। সবজির দাম কম বলে শোনা যায়, কিন্তু আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে। আমরা কম দামে কিনতে পারলে অবশ্যই ক্রেতাদের কম দামে দিতে পারতাম।”

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই সমস্যার মূল কারণ মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য। তারা কৃষকদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে ফুলকপি কিনে শহরের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছে।

জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। এটা পুরোপুরি মার্কেট অ্যানালাইসিসের বিষয়। প্রকৃতপক্ষে তারা কী দামে কিনছে এবং পরিবহন খরচ কত হচ্ছে, সেটা তারাই জানে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *