শিরোনাম

দুটি লোহার ব্রিজ নেই হয়ে যাওয়ার গল্প, একটি এখন বাঁশের সাঁকো

Views: 27

বরিশাল অফিস :: পিরোজপুরের নাজিরপুরে দীর্ঘা ইউনিয়নের শহীদ জননী কলেজ থেকে ঘোষকাঠী রাস্তায় থাকা দুটি লোহার ব্রিজের একটিও নেই। একটিতে রাস্তা তৈরির জন্য বক্স কালভার্ট ও অন্যটিতে স্থানীয়দের সহায়তায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।

ওই দুটি লোহার ব্রিজের একটির অবস্থান ছিল এ রাস্তাটির সলেমান শিকদারের বাড়ি সংলগ্ন চালিতাবড়ি খালের উপর। অপরটি ছিল ভূমি অফিসের পিছনে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দুটি ব্রিজেরই লোহার মালামাল খুলে নিয়ে গেছেন একজন ইউপি সদস্য। এ ব্যাপারে তারা উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন।

স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘা ইউনিয়েনের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজিব শিকদার এই দুটি ব্রিজের মালামাল খুলে নিয়ে যান। পরে ওই মালামালের কিছু অংশ বিক্রি করেন আর বাকী অংশ বাড়িতে রেখে দেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই ইউপি সদস্য ব্রিজের ১০-১২ টনের বেশি লোহার মালামাল প্রকাশ্যে খুলে নিয়েছেন। স্থানীয়রা তখন এ কাজে বাধা দিলেও বিষয়টি চেয়ারম্যান জানেন বলে ইউপি সদস্য তাদের জানান।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ওই রাস্তার দুটি লোহার ব্রিজের একটিও নেই। একটিতে রাস্তা তৈরির জন্য বক্স কালভার্ট ও অন্যটিতে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনের উঠানে ব্রিজের লোহার দুটি পিলার ফেলে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় লুৎফর শিকদার জানান, চালিতাবাড়ির খালের উপর গার্ডার ব্রিজ তৈরির করে দেওয়ার কথা বলে গত ১৪ জুন ইউপি সদস্য লোহার ব্রিজটি ভেঙে নিয়ে যান।

স্থানীয় কদম আলী শিকদার নামে আরেকজন জানান, ব্রিজটি ভেঙে নেওয়ার পর সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যা হওয়ায় স্থানীয়দের সহায়তায় সেখানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে দীর্ঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারী জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। আর এই বিষয়ে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাজীব শিকদার এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাকে ফাঁসাতে এমন মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *