শিরোনাম

দুমকিতে আগুনে ঈদের আনন্দ রূপ নিল বিষাদে

Views: 65

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: ঈদের রাতে আগুনে নিঃস্ব হয়েছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রাজাখালি গ্রামের ১টি পরিবার। সব হারিয়ে ঈদের আনন্দ এখন বিষাদে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে সাবেক ইউপি সদস্য বাচ্চু হাওলাদারদের বাড়ির রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

খবর পেয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মরহুম এসকান্দার হাওলাদারের ওই বাড়িতে তার ছেলে মাসুদ হাওলাদার বসবাস করে আসছিলেন। ঈদ উপলক্ষে অন্যান্য ছেলেরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়িতে আসে। রাতে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীদের খাওয়ানোর পর একটার দিকে ঘুমাতে যায় ঘরের লোকজন। রাত সাড়ে তিনটায় আগুনের ধোঁয়ার গন্ধে ঘুম ভেঙে যায় মাসুদ হাওলাদারের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের।

তাসমিনা বেগম জানান, ধোঁয়ার গন্ধে ঘুম ভেঙে গেলে চিৎকার করে সকলকে উঠায় এবং রান্নাঘর দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখেন। এ সময় দ্রুত সবাই এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।ততক্ষণে আগুন বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে আগুনের তীব্রতা বাড়ে এবং সম্পূর্ণ ঘর পুড়ে যায়।

আরো পড়ুন : ঈদের দ্বিতীয় দিনে প্রাণ ফিরেছে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়

পরিবারের মেজো ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য বাচ্চু হাওলাদার জানান, রাতে খাবার শেষে বাড়ি থেকে দুমকি উপজেলা সদরের বাসায় ফেরেন তিনি। ভোররাতে আগুনের খবর পেয়ে বাড়ি এসে দেখতে পান সবকিছু পুড়ে গেছে। মালামাল ছাড়াও ঘরে থাকা ১৫ মন মুগডাল, ১০ মন চালও পুড়ে যায়।

শ্রীরামপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মৃধা জানান, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পরিবারটি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুমকির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন মাহমুদ বলেন, আমরা যা ধারণা করেছিলাম এখানে আগুনের ভয়াবহতা তার চেয়েও বেশি ছিল। পরিবারটি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা সম্ভব সর্বাত্মক দেয়ার চেষ্টা করবো।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *