পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার কৃষকরা আশা করছেন, চলতি আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন হবে। উপজেলার শ্রীরামপুর, আঙ্গারিয়া, পাঙ্গাশিয়া, লেবুখালী ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের আমন ক্ষেত গাঢ় সবুজে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় মাঠগুলো দিগন্ত জোড়া আমনের চারা হেলে দুলে প্রকৃতিকে স্বাগত জানাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে কৃষকরা সম্ভাবনার স্বপ্ন বুনছেন।
বিগত বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের বীজ তলা নষ্ট হয়ে গেলেও তারা পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে চড়া দামে আমন চারা কিনে জমিতে রোপণ করেছেন। বর্তমানে আমন ধানের চারায় জমি ভরে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সবুজের সমারোহ যেন প্রকৃতিকে বিমোহিত করে তুলছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার মোট ৬ হাজার ৬শ ১ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষত, উঁচু জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করা হয়েছে এবং অনেক জমিতে ধান পাকা শুরু হয়ে গেছে। কিছু জমিতে ধানের শীষ সোনালী রং ধারণ করে নুইয়ে পড়তে শুরু করেছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব মাঠেই আমন ধানের চারা সবুজে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কৃষক মাসুদ মৃধা বলেন, “এ বছর সবাইকে চড়া দামে আমন চারা কিনে বপন করতে হয়েছে, তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন আশা করছি।” মুরাদিয়া ইউনিয়নের কৃষক সুশীল মৌয়ালী বলেন, “যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, তাহলে এবছর আমাদের এলাকায় আমনের বাম্পার ফলন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।”
দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, কৃষকদের আমন ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারিভাবে প্রণোদনা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই এলাকার জমি আমন ধান চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানা সমস্যার সমাধানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ প্রদান করছেন, বিশেষ করে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হতে পারে।