পটুয়াখালীর দুমকিতে উড়ো চিঠি মাধ্যমে বিএনপির নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের একাংশ।
শুক্রবার রাত ৯টায় প্রেস ক্লাব দুমকিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ সাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, “গত ২৭ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ‘নববর্ষ উপলক্ষ্যে দুমকিতে বিএনপির নামে চাঁদা দাবি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমূলক।”
তিনি আরও জানান, “চাঁদা দাবির অভিযোগে যাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে, তারা সবাই জাতীয়তাবাদী শক্তির পরীক্ষিত ত্যাগী কর্মী। এরা বিগত আওয়ামী দুঃশাসনে অত্যাচারিত ও নির্যাতিত, এবং রাজপথে টিকে থাকতে বারবার হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা রয়েছে।”
সৈয়দ সাহাদাত হোসেন বলেন, “আমরা একটি চিঠি পেয়েছি, যেখানে কোনো আয়োজনকারী বা দাওয়াতকারী নাম উল্লেখ করা হয়নি। এই চিঠিটি কে বা কারা ছেপেছে, তা আমরা জানি না। তবে, পত্রিকায় যাদের নাম এসেছে, আমরা তাদের পক্ষে কথা বলছি, এবং তাদের বিরুদ্ধে এমন চাঁদা দাবি করার কোনো প্রমাণ নেই। এটা আমাদের দলের ঐক্যকে দুর্বল করার একটি ষড়যন্ত্র।”
তিনি জেলা বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান, তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বিএফডিসি জাতীয়তাবাদী অ্যামপ্লেয়েজের সাধারণ সম্পাদক, দুমকি উপজেলা বিএনপির সদস্য জিএম সাহজাদা, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহীন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন হাওলাদার এবং শ্রীরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধা।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর দুমকি উপজেলা বিএনপি প্রাথমিক তদন্ত করেছে এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ রিপোর্ট জেলা বিএনপির কাছে পাঠিয়েছে।”
—