পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের “সেকান্দার আলী দফাদার বাড়ির দরজার সামনের আবাসন থেকে ডাকাতিয়া খাল ভায়া তালুকদার বাজার পর্যন্ত” পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাটির রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত, সংস্কার বা পাকা করনের অভাবে ভেঙে বড় বড় খানাখন্দে পরিনত হয়েছে।
এ রাস্তাটি শ্রীরামপুর, মুরাদিয়া ও মৌকরন এ তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার জনসাধারনের যোগাযোগ মাধ্যম। উপজেলা শহর দুমকিতে নিত্যনৈমিত্তিক কার্যসম্পাদন, স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের কেনাকাটা করতে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
এছাড়াও দুমকি, মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজার থেকে তালুকদার বাজার হয়ে পটুয়াখালী যাতায়াতের বিকল্প হিসেবে এ রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করে।
স্থানীয় তালুকদার বাজার, কলবাড়ি বাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মালামাল, নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের একমাত্র ভরসা এ রাস্তাটি। মুরাদিয়া মহিলা মাদ্রাসা, লতিফ মোহসেনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জামলা দাখিল মাদ্রাসা, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়। অনেক সময় জরুরি ভিত্তিতে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে যাতায়াতে আরো ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় হরহামেশা।
আরো পড়ুন : বাউফলে তীব্র লোডশেডিং – দুর্ভোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে পানি জমে কাঁদায় পরিনত হয়েছে। এছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে ইট বালু বোঝাই অবৈধ মাহেন্দ্রা, ট্রলি পার্শ্ববর্তী মুরাদিয়া ও মৌকরন ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করায় আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বিশ্বের রোল মডেল। সর্বক্ষেত্রে সাফল্য গাঁথা ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। অভুতপূর্ন কাজ করা সত্ত্বেও পিছুটান ছাড়ছেনা এ রাস্তাটি পাকা করনের। বিভিন্ন সময় এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে উপজেলা চেয়ারম্যান এমনকি সাংসদ পর্যন্ত গড়িয়েছে এ অবহেলিত জনপদের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম রাস্তাটির পাকাকরণনের দাবি। রাস্তার পাশে অবস্থিত দক্ষিণ সালামপুর মঈনুল উলুম কওমী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোঃ ইউসুফ আলী খান বলেন, এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে ছোট ছোট শিশুদের মাদ্রাসায় যাতায়াতে খুব ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
মোশারেফ হাওলাদার নামের এক স্থানীয় বৃদ্ধ বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর পূর্বে এ রাস্তাটির মেরামতের কাজ হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে চলাফেরায় খুব কষ্ট হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো: সাদ জগলুল ফারুক জানান, রাস্তাটির আইডি নাম্বার ৫৭৮৯৬৪১৩৫ পড়েছে অনেক পূর্বেই কিন্তু সংস্কার বা পাকাকরণনের কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত আমার স্কিমে নাই। বরাদ্দ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।