শিরোনাম

দুমকিতে রাস্তা সংস্কার বন্ধ দুবছর

Views: 46

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দুমকিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ থাকায় খানাখন্দক ও ধুলাবালিতে যানবাহনসহ চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলার মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজার থেকে কলবাড়ি বাজার সংলগ্ন চেয়ারম্যান বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দুই বছর আগে খোয়া দেওয়ার পর থেকে অজানা কারণে কাজটি বন্ধ। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করায় এমনটা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউপিসি টু লাউকাঠী ইউপিসি ভায়া মুরাদিয়া হাইস্কুল ভায়া সাউথখালী জিপিএস এবং ভক্ত বাড়ি রাস্তাটি আম্পার প্রকল্প থেকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য ৩ কোটি ২৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই সাপেক্ষে শরিয়তপুরের মেসার্স শেখ এন্টারপ্রাইজ গত ২০২২, ২৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে এবং গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও রাস্তাটি বেহাল রয়েছে।

আরো পড়ুন : গলাচিপায় স্ত্রীর সামনে স্বামীর মৃত্যু

স্থানীয় মোটরসাইকেল চালক মমিনুল ইসলাম খবির, গৌরী রানী নামের এক যাত্রী বলেন, গত দুইবছর আগে রাস্তায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ফেলে রাখায় গুড়া হয়ে ধূলায় পরিণত হয়েছে। ধূলায় অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াতের সময় ইটের গুড়া, মাটি ও বালি মিশে ধূলায় পরিণত হয়ে বাতাসে উড়ছে। যাত্রীদের জামাকাপড় ধূলাবালিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাস্তার দুইপাশের ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গাছপালা ধুলাবালি পড়ে লাল হয়ে গেছে এবং শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান তারা। এছাড়াও রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারের নামে ফেলে রাখায় খানাখন্দের কারণে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার কারণে গুড়া হয়ে গেছে। গাড়িতে উঠলে ঝাঁকুনিতে চলাচলে শরীর ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। ধুলাবালির কারণে চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে এবং শাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন। কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে পেইজ ঢালাই করে দিলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

এদিকে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রাকিবুল ইসলাম আকন মোবাইলে বলেন, ঈদের পরে রাস্তাটির কাজ শেষ করা হবে।

দুমকী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. সাদ জগলুল ফারুক বলেন, আম্পার প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির কাজ চলমান। ঠিকাদার দীর্ঘ দিন ধরে কাজটি ফেলে রেখেছে। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বার বার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *