পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: নির্বাচনী মাঠে টিকতে না পেরে বিরোধী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আসন্ন দুমকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী কাওসার আমিন হাওলাদার ওরফে মাল্টা কাওসারের বিরুদ্ধে। গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে মুরাদিয়া ইউনিয়নে আনারস মার্কার ৩ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ভিতর দুজনকেই সরাসরি মাল্টা কাওসার মেরেছেন এমন অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।
সরেজমিনে প্রতক্ষদর্শী ও ভূক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ দুপুরে মুরাদিয়ার কাবিলওলায় মাল্টা কাওসার তার ১০/১২ জন সহযোগী নিয়ে আনারস মার্কার সর্মথক চরগরবদী গ্রামের মো: খোরশেদ হাওলাদারের ছেলে মো. ঝন্টু হাওলাদার ও আতাহার শরীফের ছেলে আবদুর রাজ্জাককে বেদম মারধর করেন।
মারধরের শিকার আনারসের কর্মী ঝন্টু হাওলাদার জানান, আজ (শুক্রবার) দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এমন সময় মাল্টা কাওসারের গাড়ী দেখে তার অটোচালককে থেমে সাইড দিতে বলে। ওপাশে গিয়েই ওকে দেখে মাল্টা কাওসার তার কর্মীদের বলে খা-ন-কীর পোলাগো একেকটাকে ধর, গলা কা-ই-টা ফ্যালা। আমি তখন তাকে ডাক দিলে সে না দাড়িঁয়ে গাড়ী টেনে চলে যায়। আমিও বাড়ির দিকে হাটঁতে থাকি। কিছুক্ষণ পরে দেখি ১০/১২ জন লোক নিয়ে সে আমার কাছে আসে। এর মধ্যে টিপু নামের একটা ছেলে গেঞ্জির কলার ধরে আর মাল্টা কাওসার এই শু-য়ো-রে-র বাচ্চা কী বললি বলেই মারধর শুরু করে। এরপর তার লোকজন আমাকে যে যেভাবে পারে মারতে থাকে। এসময় সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকাও তার লোকজন নিয়ে যায়। এরপর মাটিতে ফেলে দিয়ে এলোপাথারি মারতে থাকলে আমার চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে ছেড়ে দেয়।
ঝন্টুকে বাচাঁতে এলে একই গ্রামের ষাটোর্দ্ধ আবদুর রাজ্জাককেও মারধর করে মাল্টা কাওসার ও তার লোকেরা। মারধরের শিকার ব্যক্তিরা জানান, দুমকী, লেবুখালী ও পাংগাশিয়ার সর্মথকরা মাল্টা কাওসারের সাথে ছিল। এজন্য সবাইকে চিনতে পারেননি। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী জনসংযোগকালে আচরণবিধি ভংগ করার অভিযোগে মাল্টা কাওসারের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করেন আচরণ বিধি ম্যাজিষ্ট্রেট।
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় আনারস মার্কার সমর্থক গঞ্জর হোসেন খানের ছেলে মো: ফারুক হোসেন খানকে মারধর করে গুরুতর আহত করে কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী কাওসার আমিন হাওলাদারের লোকজন। গুরুতর আহত ফারুক এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মাল্টা কাওসার এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি না হলেও আনারস মার্কার প্রার্থী মেহেদী হাসান মিজান জানান, নির্বাচনী মাঠে টিকতে না পেরে পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধী পক্ষ। তবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি স্থানীয় থানাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলেও তিনি জানান। তিনি এক ফেসবুক লাইভে বিরোধীদের ফাদেঁ পা না দিয়ে সর্মথকদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রচার চালানোর জন্য কর্মী সমর্থকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।