পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: দুর্গাপূজার ছুটিতে হাজারো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর এখন সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। নোনা জলে নেচে-গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছে পর্যটকরা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যটকে মুখরিত সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। দীর্ঘ সময় পরে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে যাওয়ার আভাস মেলে পর্যটকদের উচ্ছ্বাসে। প্রতি বছর এই সময় সমুদ্র সৈকতে তেমন ভিড় না থাকলেও এবার দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষ্যে পর্যটকদের মেলা বসেছে সৈকতে।
কুমিল্লা থেকে ঘুরতে আসা সাইমা ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই সৈকতের নোনা জলে গা ভাসিয়ে নেচে-গেয়ে আনন্দ করেছি আমরা। খুবই ভালো লাগছে। অনেক দিন ধরে দেশের পরিস্থিতির কারণে যাওয়া হয়নি কোথাও।
যশোর থেকে পরিবারসহ ঘুরতে আসা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, অনেক দিন থেকেই ভাবছি কোথাও ঘুরতে যাবো। কিন্তু যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এখন যেন আকাশে-বাতাসে স্বস্তি। তাই পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। সমুদ্রকে অন্য রকম লাগছে।
আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। দক্ষিণের নির্মল বাতাস, সাগরের নীল জলরাশি। এমন পরিবেশে অনেকে প্রিয়জনদের সঙ্গে সৈকতে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রকৃতি। ওয়াটার বাইক, মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চড়ে আনন্দ উপভোগ করতে দেখা গেছে অনেক পর্যটকদের।
কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, টানা ছুটিকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন পরে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে যাওয়ার পরে কুয়াকাটায় অধিকাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং হয়েছে। এতোদিনে আমরা কিছু ব্যবসা করতে পারছি। পর্যটকদের এমন ভিড় অনেক দিন দেখা হয় না।
আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে তৎপর কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ পুলিশ সুপার মো. আনছার উদ্দিন বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটকের আগমন হয়েছে। কোনো পর্যটক যেন হয়রানির শিকার না হয় এজন্য আমরা সর্বদা মনিটরিং করছি।
উল্লেখ্য, কুয়াকাটায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতে ছোট বড় মিলে প্রায় দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল রয়েছে।