**চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:** শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। রাজধানীর রমনা কালীমন্দিরে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান।
সেনাপ্রধান বলেন, “দুর্গাপূজার প্রতিটি মণ্ডপ ও আশপাশের এলাকা সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূজার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপিত হচ্ছে, এবং বাকি দিনগুলোতেও এ শান্তি বজায় থাকবে।” তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “আপনাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সর্বদা সতর্ক রয়েছি। পূজার বাকি দিনগুলোতেও উৎসব উদযাপনে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না, এই নিশ্চয়তা দিতে চাই।”
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। শতাব্দীর পর শতাব্দি হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা এই দেশে একসাথে বসবাস করে আসছে। আমাদের এই সহাবস্থান এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অতীতে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। জাতি হিসেবে আমাদের এই ঐতিহ্য রক্ষা করা জরুরি।”
আরো পড়ুন : বাংলাদেশ স্মার্ট হচ্ছে সেনাবাহিনীকেও স্মার্ট হতে হবে: সেনা প্রধান
এ সময় পূজামণ্ডপের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা সেনাপ্রধানকে পূজার আয়োজন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পূজামণ্ডপের পরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আরও উন্নত নিরাপত্তার জন্য যে কোনো প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব, যেখানে প্রতিটি মণ্ডপে হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে। এমন সময়ে সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও নিয়মিত টহল দিয়ে যাচ্ছে। দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব নিরাপদে উদযাপনের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। সেনাপ্রধানের এই আশ্বাস সনাতন ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ বৃদ্ধি করেছে।