এস এল টি তুহিন,বরিশাল : দূর্গাপূজা পূজা যতই ঘনিয়ে আসছে ব্যস্ততা ততটাই বাড়ছে বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
কেউ কেউ খড়, কাঠ, সুতা দিয়ে প্রতিমার কাঠামো তৈরি করছেন কেউবা নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমা। প্রতিমার কাঠামো তৈরি শেষে এখন চলছে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির মূল কাজ। এরপর প্রতিমা শুকানোর পর কেউ কেউ শুরু করেছে প্রতিমায় রঙের কাজ।
প্রতিমা তৈরির কারিগর বিপক পাল বলেন, সবকিছুর দাম বাড়লেও প্রতিমা তৈরির কারিকরদের মজুরি খুব একটা বাড়েনি। আগের মতো মানুষ মাটির তৈরি জিনিসপত্র ব্যাবহার না করায় আমাদের প্রায় সারা বছরই অলস সময় কাটাতে হয়। তবে দুর্গাপূজা চলাকালীন প্রতিমা তৈরি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে কোনো মতে সারা বছর সংসার চালাই।
জানা গেছে,গত বছর বরিশাল জেলা ও মহানগরী এলাকায় ৬৪৬ টি পুজা মন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে মহানগরীতে ছিলো ৪৪টি। এবছর মহানগরীতে ১টি এবং বাকেরগঞ্জ ও মেহেন্দিগঞ্জে দুটি পুজা মন্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জী কুডু বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পাঁচদিন ব্যাপী এবাবের দুর্গোৎসব। চলতি বছর দেবীর আগমন ও গমন ঘোটকে (ঘোড়ায়) যার ফল ছত্রভঙ্গ অর্থাৎ পৃথিবী এবার অনেকটা অস্থির ও বিশৃঙ্খল থাকবে। তবে দেবীর আগমনে বিশ্ব হবে শান্তিময়, অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে উদয় হবে শুভ শক্তির এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের ।