বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, দেশে চাঁদাবাজি, দখলবাজি এবং দুর্নীতি কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তিনি শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআন আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে বয়ান পেশ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
মিজানুর রহমান আজহারী তার বক্তৃতায় বলেন, “দেশের রাজনীতিতে যখন ক্ষমতার পালাবদল ঘটে, তখন আমরা এক সরকারের দুর্নীতির কাহিনি শুনি, পরবর্তীতে আরেক সরকারের দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠে। আমরা এই বাজে স্বভাবগুলো প্রতিটি দলের মধ্যে দেখতে পেয়েছি। এখন সময় এসেছে আমাদের নিজেদের শুধরে নেয়ার। আমরা চাই না চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা কোনো ধরনের দুর্নীতি দেশে চলতে থাকুক।”
তিনি আরও বলেন, “এটাই নতুন প্রভাতের বাংলাদেশ, নতুন ভোরের বাংলাদেশ। আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে একসাথে এই দেশকে উন্নত করতে কাজ করবো।”
ড. আজহারী জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের শপথ নেওয়ার সময় এসেছে। সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের শপথ নেয়া উচিত যে তারা আর কোনো দিন চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করবে না এবং সবসময় দেশের পক্ষে থাকবে।”
তাফসীর মাহফিলে তিনি একথাও বলেন যে, “যশোরের মাহফিলের বক্তব্য সাধারণ ও সবার জন্য ছিল। রাজনৈতিক প্রসঙ্গে যদি কেউ বলেন, ‘দল করে দেখান’, তবে আমি বলব, আমার প্রথম পরিচয় আমি একজন মুফাসসিরে কুরআন এবং তার পর আমি একজন বাংলাদেশি নাগরিক। দেশের যেকোনো সমস্যা নিয়ে কথা বলার আমার অধিকার রয়েছে।”
মাহফিলের শেষ দিনে, ড. মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও তাফসীর পেশ করেন আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মুফতি মাওলানা আমীর হামজা, শায়খ হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, শায়েখ আজমল মসরুর, মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবী ও মাওলানা হাসানুল বান্না বিন শরিফ আব্দুল কাদির।
এ ছাড়া মাহফিলের বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হাফিজ আব্দুল হাই হারুন প্রস্তাবনা পেশ করেন।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম