দীর্ঘদিন পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন। রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বিএনপিকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। এ সময় বিএনপির কর্মীরা স্লোগানে তাকে স্বাগত জানালেও বেবী নাজনীন কারো কাছ থেকে কোনো ফুলের তোড়া গ্রহণ করেননি। তিনি জানান, “ফুল নয়, শুভেচ্ছাই যথেষ্ট।”
ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর গণমাধ্যম ও বিএনপিকর্মীদের ঘিরে ধরলে বেবী নাজনীন বলেন, “আমি রাজনীতির সঙ্গেই আছি, মিডিয়াকর্মী হিসেবে আছি।” তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ছাত্রজনতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্তভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছে, কথা বলতে পারছে স্বাধীনভাবে।”
বেবী নাজনীন স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, সেই স্বপ্ন পূরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করতে হবে।” তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুসের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বের থাকার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে বেবী নাজনীন বলেন, “তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বেবী নাজনীন জানান, “আমি সবসময় রাজনীতির সঙ্গেই আছি। মিডিয়াকর্মী হিসেবে আপনাদের সঙ্গেও আছি। দেশে ফিরে আসার পর পরিকল্পনার কথা পরে জানাব।”
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অ্যালবামে গান গেয়েছেন। প্রবাস জীবনে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন আয়োজনে বাংলা গান গেয়ে প্রবাসী বাঙালিদের মন জয় করেছেন তিনি। ভারতীয় সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে, বাপ্পি লাহিড়ী, কুমার শানু এবং কবিতা কৃষ্ণমূর্তির সঙ্গেও তার একাধিক অ্যালবাম রয়েছে। শ্রোতাদের কাছে ‘ব্লাক ডায়মন্ড’ নামে সমাদৃত এই শিল্পী বাংলাদেশ অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে এক অনন্য নাম।