চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের চার প্রতিষ্ঠানের। একই সময়ে মুনাফা কমেছে দুটি ব্যাংকের। ব্যাংকগুলোর গত এপ্রিল থেকে ৩০ জুন সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
ব্যাংকগুলো হলো, এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড যা এক্সিম ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ওয়ান ব্যাংক এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
রোববার (৩০ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ছয়টি ব্যাংকের মধ্যে মুনাফা বেড়েছে, এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড যা এক্সিম ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের। আর মুনাফা কমেছে ওয়ান ব্যাংক এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
মুনাফা বাড়ায় তালিকায় যে চারটি ব্যাংক
এক্সিম ব্যাংক
দ্বিতীয় প্রান্তিকে এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ৮৯ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে। শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকেই নয়, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা।
মুনাফায় ৩০ জুন ২০২৩ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৭ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ২২ টাকা ৮৯ পয়সা।
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড
দ্বিতীয় প্রান্তিকে যমুনা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫১ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ১ টাকা ২২ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে।
শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকেই নয়, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ২ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে।
৩০ জুন ২০২৩ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ২৪ টাকা ৯৮ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ২৪ টাকা ২০ পয়সা।
ব্যাংক এশিয়া
এপ্রিল থেকে জুন সময়ে এ ব্যাংক এশীয়ার শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ৯৪ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে।
শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকেই নয়, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮৮ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ২ টাকা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে।
৩০ জুন ২০২৩ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ২৫ টাকা ৮০ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ২৩ টাকা ৮৪ পয়সা।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)
ইবিএলের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ৯৮ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকের পাশাপাশি চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটির আয়ও বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ১ টাকা ৯৬ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে।
৩০ জুন ২০২৩ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৩০ টাকা ৩৭ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ২৯ টাকা ৬২ পয়সা।
মুনাফা কমার তালিকায় রয়েছে যে দুই ব্যাংক
ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ৫১ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকের পাশাপাশি চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটির আয়ও বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৫২ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ৯৩ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে।
৩০ জুন ২০২৩ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১৯ টাকা ৪৭ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ টাকা ১৫ পয়সা।
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
আল-আরাফাহ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৮ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ৬৬ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকের পাশাপাশি চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটির আয়ও বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৭৭ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে।
৩০ জুন ২০২৩ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ২২ টাকা ৩ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ২২ টাকা ৩৯ পয়সা।