পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় লুমা রাখাইন নামের এক রাখাইন নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তার সাড়ে ৭ একর জমি থেকে প্রায় ২৫০ মণ ধান লুট করে নিয়ে গেছে মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী আক্কাস। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লুমা রাখাইন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “এটি আমার বাবা ও ভাইয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তি, যা আমি আজীবন ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ করে মহিপুর থানা বিএনপি নেতা মো. আলী আক্কাস ওই জমি দখল করার চেষ্টা করছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে, তার সহযোগিতায় চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও জানান, ১৭ ডিসেম্বর বিকালে তার জমিতে বর্গাচাষি ধান কাটতে শুরু করলে, মো. আলী আক্কাসের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করে এবং ধানগুলো লুট করে নিয়ে যায়।
লুমা রাখাইন লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, “আমার বাবা জীবিত থাকাকালে সম্পত্তি মংফরম তালুকদারের কাছে মৌখিকভাবে বিক্রি করেন, কিন্তু রেজিস্ট্রি হওয়ার আগেই আমার বাবা মারা যান। পরে আমি মংফরম তালুকদারের থেকে পুরো টাকা ফেরত নিয়ে সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করি। আমি নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি।”
এ অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা মো. আলী আক্কাস জানান, “এটি একটি ষড়যন্ত্র, এবং দলের মধ্যে কিছু মহল আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
মহিপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিক মোল্লা বলেন, “এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”