গত সপ্তাহে ওই এলাকা আজারবাইজানের দখলে যাওয়ার পর থেকে হাজার হাজার জাতিগত আর্মেনীয় নাগরিক বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৩ হাজারের মতো শরণার্থী ওই ছিটমহল ছেড়ে আর্মেনিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। সেখানে এক লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ানের বসবাস ছিল।
আর্মেনিয়ার সরকার যুদ্ধের কারণে বাস্তুহারা মানুষকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর থেকেই তারা এলাকা ছাড়তে শুরু করে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, ওই এলাকায় জাতিগত নিধন চলছে। তবে স্টেপানাকার্ট শহরে সোমবার সন্ধ্যায় কী কারণে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে স্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও সাতজনের মৃত্যু হয়।
নাগোরনো-কারাবাখ দক্ষিণ ককেসাসের একটি পাহাড়ি এলাকা। এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তবে তিন দশক ধরে এটি জাতিগত আর্মেনিয়ানরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এই ছিটমহলের প্রতি আর্মেনিয়া এবং তাদের মিত্র রাশিয়ার সমর্থন ছিল। বছরের পর বছর ধরে সেখানে শত শত রুশ সেনা ছিল।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে সেখানে এটাই চলছে (জাতিগত নিধন) এবং এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, কারণ এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানানোর চেষ্টা করছি।