পটুয়াখালীর সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনপ্রিয় খাদ্য ‘নাপ্পি’ তৈরিতে চলছে ব্যাপক বাণিজ্য। আদিবাসীদের খাবারের তালিকায় বহুল ব্যবহৃত এই নাপ্পি তরকারির স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। তবে, এই খাদ্য তৈরির পদ্ধতি স্বাস্থ্যকর নয় এবং পরিবেশের জন্যও হুমকি স্বরূপ।
ক্ষুদ্র চিংড়ি এবং অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের মিশ্রণে তৈরি হয় নাপ্পি। মাছ পচিয়ে, শুকিয়ে এবং কেমিক্যাল মিশিয়ে এই খাদ্য তৈরি করা হয়। পটুয়াখালীর মহিপুর, নিজামপুর, কোমরপুর, হাজীপুর, চর গঙ্গামতি, কাউয়ার চরসহ বিভিন্ন এলাকায় নাপ্পি তৈরির কারখানাগুলোতে দেখা গেছে, কর্মীরা খালি পায়ে নোংরা পরিবেশে কাজ করছেন। এতে মেশানো হচ্ছে লবণ এবং বিষাক্ত রাসায়নিক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পচা মাছের কারণে এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি এই খাদ্য গ্রহণে ডায়রিয়া, কলেরা এবং আমাশয়ের মতো রোগের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, নাপ্পি তৈরি অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে হওয়া উচিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালী জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আবু রায়হান জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নাপ্পি তৈরির প্রমাণ পেলে তা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কুয়াকাটার ব্যবসায়ী মো. কালাম দাবি করেন, নাপ্পি একটি জনপ্রিয় খাদ্য এবং এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তবে, চট্টগ্রামের আরেক ব্যবসায়ী এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, নাপ্পি তৈরিতে স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি নিশ্চিত করা হোক এবং পরিবেশ দূষণ রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক।