শিরোনাম

নারীদের জন্য অপরিহার্য ৬টি ভিটামিন

Views: 7

২৫ বছর পার করার পর নারীদের জীবনে আসে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। এই সময়টায় কাজ, ব্যক্তিগত দায়িত্ব আর স্বাস্থ্য সামলানোর ব্যস্ততায় প্রায়ই অবহেলিত হয় পুষ্টির বিষয়টি। কিন্তু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং শরীরের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ভিটামিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন ডি

শক্তিশালী হাড় ও দাঁতের জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য। ২৫-এর পর কর্মব্যস্ত জীবনে পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাবে এই ভিটামিনের ঘাটতি হয়। এই অভাব পরবর্তীতে হাড় দুর্বল করে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ফোর্টিফাইড দুধ, ডিম ও স্যামনের মতো খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবু ঘাটতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে।

ভিটামিন সি

ভিটামিন সি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, এটি উজ্জ্বল ত্বকের জন্যও অপরিহার্য। এটি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ত্বককে তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি শরীরের আয়রন শোষণে সাহায্য করে, যা মাসিকের সময় নারীদের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি, বেল মরিচ ও ব্রোকলি থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

ভিটামিন বি১২

যদি কাজের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন বা সহজেই ক্লান্ত বোধ করেন, তবে এর কারণ হতে পারে ভিটামিন বি১২-এর অভাব। এটি রক্ত ​​কণিকার উৎপাদন ও স্নায়ুর কার্যকারিতায় সহায়ক। ডিম, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য ভিটামিন বি১২-এর ভালো উৎস। নিরামিষভোজীদের জন্য সাপ্লিমেন্ট হতে পারে বিকল্প।

ভিটামিন ই

ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং UV রশ্মি ও দূষণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। বাদাম, বীজ, পালং শাক ও সূর্যমুখী তেলে ভিটামিন ই পাওয়া যায়।

ফোলেট (ভিটামিন বি৯)

ফোলেট প্রজননের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোষের বৃদ্ধি এবং জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। পাতাযুক্ত শাকসবজি, মটরশুটি ইত্যাদিতে ফোলেট পাওয়া যায়।

ভিটামিন কে

রক্ত ​​জমাট বাঁধা এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে ভিটামিন কে-এর ভূমিকা অসামান্য। ব্রোকলি, পালং শাক প্রভৃতি খাবারে এটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম
image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *