চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে দেওয়া আগুনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সব সেবা। তাতে বিপাকে পড়েছে মানুষ, প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে সংস্থাটির কার্যালয়ের সামনে।
সংস্থাটি বলছে, নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির নিবন্ধন, রুট পারমিট এই মুহূর্তে দেওয়া যাবে না। বন্ধ থাকবে মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, অগ্রিম আয়কর প্রদান কার্যক্রমও।
এ অবস্থায় মোটরযান নিবন্ধনের প্রাপ্তিস্বীকার পত্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। যানবাহনের কর এবং ফিটনেস সনদের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও যেন গ্রাহকদের হয়রানি না করা হয়- সেজন্য সব জেলা প্রশাসন, পুলিশকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এরইমধ্যে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া মোটরযানের ফিটনেস, ট্যাক্স-টোকেন, রুট পারমিট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের বৈধতার মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারী সচিব মো. জসিম উদ্দিনের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ”গত ১৮ ও ১৯ জুলাই বিআরটিএ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটতরাজ করা হয়েছে। এতে বিআরটিএ ভবনে থাকা সার্ভার ও আইএস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মোটরযান সংক্রান্ত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।”
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকার বনানীতে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এ সময় ভবনের নিচতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত আগুন দেওয়া হয়। ভবনের বেজমেন্টে থাকা কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
পরদিন ১৯ জুলাই দুপুরের পর বিআরটিএ কার্যালয়ে ফের হামলা চালানো হয়। এ সময় ১২ তলা ওই ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে গিয়ে ভাঙচুর করা হয়। বিভিন্ন কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে তারা।
প্রায় একই সময়ে মিরপুরে হামলা চালানো হয় বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে। সে সময় সেখানকার প্রবেশপথের সঙ্গে থাকা হেল্প ডেস্ক, আনসার ক্যাম্প, গাড়ি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (ভিআইসি) চারটি কক্ষ এবং ভিআইসি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়, বিআরটিএর মিরপুর কার্যালয়ের মূল ভবনের প্রতিটি কক্ষের জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়। ঢাকা বিভাগীয় পরিচালকের গাড়িসহ পাঁচটি গাড়ি, কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।