বরিশাল অফিস:: পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাছ-মাংসসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম তদারকি করতে মাঠে নেমেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। শুধু জেলা প্রশাসনই নয় বরিশাল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কাজ করবে এই পণ্যগুলোর দাম নিয়ন্ত্রন তথা তদারকিতে। সব মিলিয়ে সরকারের এই ২৯ টি পণ্যের দাম নির্ধারনের পর তা তদারকি ও বাস্তবায়ন করতে কঠোরভাবে মাঠে নেমেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন ও সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠান। গত শুক্রবার মাছ মাংসসহ ২৯ টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারের এই নির্দেশনার পর জেলার ১০ টি উপজেলা ও সদর উপজেলা মিলিয়ে মোট ১১ টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিম প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরও কাজ করবে।
তিনি বলেন, নির্দেশনা রয়েছে উৎপাদন,পাইকারী ও ভোক্তা এই তিন পর্যায়ে তদারকি করার। কিন্তু আমরা এই ৩ টির মধ্যে ভোক্তা পর্যায়টিকে বেশী গুরুত্ব দেব। কারন বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ভোক্তাই পণ্য মূল্য নিয়ে বেশী প্রতারণা ও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
বরিশাল কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মাহবুব আলম বলেন, শুক্রবার বন্ধের মধ্যে এই
নির্দেশনা এসেছে। তাই আমরা কিভাবে তদারকি করব সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে ঢাকা থেকে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃকক্ষ ও জেলা প্রশাসন যে ধরনের দিক নির্দেশনা দেবেন আমরা সেভাবে কাজ করব। তিনি আরো বলেন, মূলত খুচরা পর্যায়ে এসে দাম বেড়ে যায়। তাই আমরা এই লেভেলটাকেই প্রাধান্য দেব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীরা পণ্য ক্রয় ভাউচার বা রশিদ রাখে না। ফলে আমরা তাদের কে ধরতে গিয়ে বিপাকে পড়ে যাই। এজন্য এবার খুচরা ব্যবসায়ীদের বিষয়ে কঠোর হতে হবে। তারা যার কাছ থেকেই মালামাল ক্রয় করুক না কেন যেন রশিদ বা ভাউচার রাখে।
শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি বিপণন ২৯ টি পণ্যের দাম নির্ধারন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয় নির্ধারিত এই দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারার ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নি¤েœাক্ত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো। নতুন এ দাম তিনটি স্তরে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একটি পণ্য উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে এবং ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা দাম কতো হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে।