মো:আল-আমিন, পটুয়াখালী: জেলার দুমকীর উপজেরার মুরাদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন খন্দকার বাড়ি থেকে মাস্টার নজরুল ইসলাম সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ সড়কটি নির্মাণের লক্ষে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। সিবিসি সভাপতি মুরাদিয়ার ৪নং ইউপি সদস্য মো. ফোরকান হাওলাদারের তত্বাবধানে সড়কটি নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধসহ নিম্নমানের ইট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানায়, রাস্তাটি নির্মাণে যে ইট ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে, এমন ইট দিয়ে কোন কাজ হয় বলে কেউ মনে করছেন না। অথচ উক্ত রাস্তা নির্মাণ কাজ দেখার জন্য কেউ নেই। প্রায়ই দেখা যায়, সাধারণ জনগন উন্নয়ন কাজের দুর্নীতি ধরতে গেলে বা বাধা দিলে ঠিকাদার বা সিবিসি সভাপতি হামলা মামলা দিয়ে নাজেহাল করে। স্থানীয়দের প্রশ্ন এসব দেখার জন্য সরকারের কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন। তাদের যা দেখার কথা তা এখন জনগনকে দেখেতে হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য ফোরকান হাওলাদার বলেন, ইট আমারও তেমন পছন্দ হয়নি। আগামীকাল সকালে ঘটনাস্থল চেয়ারম্যান মহোদয় আসবেন। এরপর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইটের মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, আমি শুনেছি ইটের মান খারাপ। কাজ আপাততঃ বন্ধ করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, তদন্তে ইটের মান খারাপ প্রমাণিত হওয়ায় কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই ইট সরিয়ে ভালো মানের নতুন ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য বলা হয়েছে।