শিরোনাম

নিম্নমানের মির্জাগঞ্জে সামগ্রী অপসারণ না করেই কাজ শুরু

Views: 56

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কাজের শুরুতেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক সংস্কারের কাজ করায় ঠিকাদারকে দুই দফা নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণের চিঠি দেয় উপজেলা প্রকৌশলী অফিস।

নিম্নমানের সামগ্রী অপ্রসারণ না করে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় জেলা পরকৌশলী কার্যালয়ে ঠিকাদারের সাথে চুক্তির বাতিলের সুপারিশ করে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস। এ নিয়ে (চন্দ্রদ্বীপ নিউজ) সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে  একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলে একমাস ধরে পশ্চিম সুবিদখালী বাধঘাট থেকে দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের দাসেরডাঙ্গা পর্যন্ত দুটি সড়কের তিন কিলোমিটার সংস্কারের কাজ বন্ধ থাকে।

এরপরেও উপজেলা প্রকৌশলী অফিসকে না জানিয়ে এবং নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণ না করেই আবারো সেই রাস্তার কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার রঞ্জু হাওলাদার।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তবে পুরোদমে এই সংস্কারের কাজ চললেও উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান সাংবাদিকদের।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর মির্জাগঞ্জ উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কর্মসূচির আওতায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের পশ্চিম সুবিদখালী গ্রাম ও আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের পশ্চিম সুবিদখালী বাদঘাট থেকে দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া দাসেরডাঙ্গা গ্রাম পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৪০৫ টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্পে ৩ কিলোমিটার সড়কের মেরামতের কাজ পান কলাপাড়া উপজেলার কাজী এন্টারপ্রাইজ ও পটুয়াখালীর অয়ন এন্টারপ্রাইজ।

দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় ঠিকাদার মোঃ রঞ্জু হাওলাদার ক্রয় করে সড়কটির সংস্কারের কাজ করছেন। পুরো অংশের কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সড়কটির কাজের মান যাচাই-বাছাই করে ৩১ ডিসেম্বর চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠান উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়।

এর আগে নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণের জন্য ঠিকাদারকে ৫ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায় ১২ ডিসেম্বর চিঠি পাঠানো হয়। দুই দফা চিঠি পাঠানোর পরেও চুক্তি অনুযায়ী মালামাল ব্যবহার না করে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম থেকেই নিম্নমানের ইট দিয়ে এই রাস্তার কাজ করা হয়েছিল। কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর দুই একদিন ধরে আবারও সেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই কাজ শুরু করা হয়েছে। এরকমের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলে কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তাটি আবার বেহালদশা হবে।

অভিযোগের বিষয় ক্রয়িকৃত ঠিকাদার রঞ্জু হাওলাদারের মুঠোফোনে কাছে জানতে চাইলে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার আলমগীর বাদশা বলেন, অফিসিয়াল কোন চিঠিই তিনি জবাব দেয়নি। এখন পুনরায় সে যে আবার কাজ শুরু করেছে সে বিষয়ে আমরা অবগত নই। নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণ না করে পুনরায় আবার কাজ শুরু করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এমনটি কোনভাবেই হতে পারে না। আমি বিষয়টি দেখছি।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *