দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে রয়েছেন আল–জাজিরার প্রতিনিধি হানি মাহমুদ। তিনি বলেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি এনেছে। কেননা সাত সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতে গাজার কোথাও না কোথাও হামলা হয়েছে, প্রাণহানি ঘটেছে। গতকাল দিবাগত রাত ছিল ভিন্ন। এ রাতে হামলা, প্রাণহানি, কান্না বন্ধ ছিল।
হানি মাহমুদ আরও বলেন, ৪৮ দিন পর এ রাতে গাজাবাসী নির্ভয়ে ঘুমাতে পেরেছে। ঘুমের মধ্যে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে প্রাণ হারানোর ভয় তাদের তাড়া করে ফেরেনি।
তবে গাজাবাসী মনে করছে, এটা যুদ্ধবিরতি পূর্ণাঙ্গ নয়। সাময়িক বিরতির পর আবার ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর হামলে পড়বে—এমনটাই বললেন হানি মাহমুদ। তাঁর মতে, গাজায় প্রায় ১৭ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। জীবন বাঁচাতে অবরুদ্ধ উপত্যকায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছে তারা। কেউই নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছে না।
হানি মাহমুদ বলেন, গাজাবাসীর মধ্য হতাশা ভর করেছে। সেই সঙ্গে তারা ক্ষোভে ফুঁসছে। তাদের মনে প্রশ্ন, নিরাপদে বাড়ি ফেরার সুযোগ দেওয়ার শর্তটি কেন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্ত করা হয়নি? এ জন্য তারা হতাশ।
ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর ও দক্ষিণ গাজার মধ্যে একটা সামরিক সীমা টেনে রেখেছে। সেটা পেরিয়ে কাউকে যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল কয়েকজন ফিলিস্তিনি জোর করে উত্তর গাজায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তাঁদের প্রাণ যায়। এ সময় কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে হানি মাহমুদ বলেন, এসব ফিলিস্তিনির বাড়ি উত্তর গাজায়। তাঁরা ফেলে আসা বাড়িঘর দেখার জন্য সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।