শিরোনাম

নেতানিয়াহু নাকি এরদোগান এসময়ের হিটলার?

Views: 49

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : গত বছরের ডিসেম্বরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নেতানিয়াহুর উদ্দেশে বলেছিলেন,‘হিটলারের সঙ্গে আপনার পার্থক্য কী?…হিটলার যা করেছেন, আপনি কি কোনো অংশে তার কম কিছু করেছেন?’ সূত্র: আলজাজিরা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হত্যার বিচারও হবে বলে জানিয়েছিলেন।  ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ কথা শুনে চুপ ছিলেন না। তিনি প্রতিউত্তরে বলেছিলেন, ‘ আপনিও তো কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছিলেন? আপনিও তো সেমেটিকবিরোধী।

আপনি কেনিএ যুগের হিটলার নন? সূত্র: হাফিংটনপোস্ট।

এই বাকযুদ্ধের পর কিছুটা পরষ্পরকে আক্রমণ থেমে এলেও মুসলিম বিশ্বের অনেকে মনে করছেন,ইসরায়েল প্রশ্নে তুরস্ক চরম অবস্থান নেবে। ফিলিস্তিনিদের পাশে তুরস্ক দাড়াবে শক্তিশালী ভুমিকায়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

১৪ জানুয়ারি ছিল গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ১০০ দিন। এদিনে আঙ্কারা ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগে থেকে নির্ধারিত আঙ্কারা সফর বাতিল করেন। তেল আবিবে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে আনেন। পাইপলাইনের মাধ্যমে ইসরায়েলে গ্যাস সরবরাহের যে আলোচনাটি থেমে আছে, সেটা কীভাবে চালু করা যাবে, তা নিয়ে সলাপরামর্শ করা হয়। এই একটি ঘটনায় বোঝা যায়, বাণিজ্যের প্রশ্নে ইসরায়েলের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্ক ছেদে বিশ্বাসী নয় তুরস্ক ।

এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে তা ফিলিস্তিনিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এমনকি ২০১০ সালে ইসরায়েলি সেনারা মাভি মারমারা গণহত্যা করার পরও আঙ্কারা তেল আবিবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুরোপুরি ছেদ করেনি।

ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য না করার জন্য অনেকে আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু তুরস্ক সেই আহ্বানে সাড়া দেবে বলে মনে হয় না।

এরদোগান চান যুদ্ধ চলুক, তিনি মুসলিম বিশ্বের পক্ষে কথা বলবেন আবার তুরস্কের ব্যবসাটাও চালিয়ে যাবেন। বড়ো কথা শান্তি স্থাপকের ভুমিকায় তিনি নিজেকে রাখতে চান।

মিডলইস্ট আই’তে তুরস্কের সাংবাদিক রাগিপ সয়লুর লেখা প্রতিবেদন অবলম্বনে

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *