মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা – দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতরা একাট্টা হয়েছেন। তারা যে কোনো মূল্যে নৌকার প্রার্থী এস এম শাহজাদাকে হারাতে চাইছেন।
এজন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেনের পক্ষে কাজ করছেন।
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের এসএম শাহজাদা ও স্বতন্ত্র আবুল হোসেনের ঈগলের মধ্যে।
আওয়ামী লীগ থেকে ১৯ জন মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়নবঞ্চিতরা প্রকাশ্যে ও গোপনে ঈগলের পক্ষে কাজ করছেন। এতে গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগে দেখা দিয়েছে বিভক্তি।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন মনোনয়নবঞ্চিত গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সন্তোষ কুমার দে, দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন শওকত, গলাচিপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন এবং তাদের অনুসারীরা।
সন্তোষ কুমার দে বলেন, ‘অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন উপহার দিতে আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি। এতে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। বর্তমান এমপি দলের অনেক ক্ষতি করেছেন। নতুন নেতৃত্ব হিসেবে সবাই আবুল হোসেনকে চাইছেন।’
ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, ‘নেত্রীর নির্দেশনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি। আবুল হোসেনের কাছে দল ও নেতা কর্মীরা নিরাপদ।’
অন্য দিকে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে আছেন গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা টিটো, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহীন শাহ, সহসভাপতি মজিবুর রহমান প্যাদা, দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, সহসভাপতি মশিউর রহমান ঝন্টুসহ একাংশ।
গোলাম মোস্তফা টিটো বলেন, ‘মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা শাহজাদার বিপক্ষে একাট্টা হয়েছেন। দল ও নেত্রীকে ভালোবাসলে নৌকার বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আসনটি নৌকার ঘাঁটি। এখানকার মানুষ নৌকা ছাড়া কিছু চেনেন না, নৌকাকেই বিজয়ী করবেন।’
নৌকার প্রার্থী শাহজাদা বলেছেন, আমার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা পাবেন না বুঝতে পেরে একাংশ নৌকার বিরোধিতা করছেন। তারা সব সময় নতুন কেউ এলে তাঁকে নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কারণ তাঁকে ভেঙে খাওয়া সহজ। আওয়ামী লীগের মতো বড় দলে এমন দুষ্টুচক্র নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।