শিরোনাম

নৌ বাহিনীর দক্ষতায় পালটে গেছে কীর্তনখোলার পাড়ের দৃশ্য

Views: 41

এস এল টি তুহিন (বরিশাল) : টানা বর্ষনেও এবার বরিশালে কীর্তনখোলার খরস্রোতে ভাংগেনি কোনো জনপদ। মূলত কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে মহানগরীকে রক্ষায়  সংলগ্ন চরবাড়িয়া এলাকার ভাঙন রোধে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী নিয়ন্ত্রিত খুলনা শিপইয়ার্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পেরই সুফল পেয়েছে এলাকাবাসী। এরফলে বরিশাল মহানগর সন্নিহিত একাধিক ডকইয়ার্ড, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ফেরিঘাট ছাড়াও সিটি করপোরেশনের পানি শোধনাগার সহ বিপুল স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।

২০১৯ সালের জানুয়ারীতে ২০৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকারি ক্রয় নীতিমালার ‘ডিটিএম’ পদ্ধতির আওতায় খুলনা শিপইয়ার্ডের সাথে চুক্তি সম্পাদন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের আওতায় বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকায় পৌনে ৫ লাখ জিও ব্যাগ সন্নিবেশ করে তার ওপরে ১২ লাখ ২০ হাজার সিসি ব্লক ফেরে নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পাশাপাশি ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে কীর্তনখোলা নদীর প্রবাহ নিরাপদ এলাকায় ঘুরিয়ে দিতে ড্রেজিং-এর মাধ্যমে ২৫ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারন ছাড়াও সিটি করপোরেশনের ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ রক্ষায় প্রায় সাড়ে ৩শ মিটার ‘শীট পাইলিং’ কাজও  সম্পন্ন করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড। এতে করে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে বরিশাল মহানগরী ছাড়াও সদর উপজেলার চরবাড়ীয়ার বিশাল জনপদ এবং বিভিন্ন স্থাপনা সহ ফসলী জমি ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে।

এছাড়া আরো ১৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি প্যাকেজে বরিশাল বন্দরের অপর পাড়ের চরকাউয়া থেকে উত্তরে সাহেবের হাট চ্যানেলের মোহনা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার নদী তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৮টি প্যাকেজের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বরিশাল বন্দরের অপর পাড় সহ মহানগরীর উত্তর ও উত্তর-পূর্ব প্রান্তে কীর্তনখোলার ভয়াবহ ভাঙন প্রতিরোধ সম্ভব হচ্ছে।

বরিশাল জেলার মহানগরীর বেলতলা খেয়াঘাট সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে চরবাড়ীয়া হয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন রোধ প্রকল্পের কাজও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *