ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ মন্তব্য করেছেন যে, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, এটি দেশবাসীর জন্য স্বস্তির খবর, কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হয়েছে। তবে, তিনি আরও উল্লেখ করেন, শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিলেই হবে না, বরং সংবিধানের মূলনীতিতে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে।
পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পুরোনো দলীয় কার্যালয়ে দলের যুগ্ম ও সহকারী মহাসচিবদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এ রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে, কিন্তু শুধু এই ব্যবস্থারই প্রয়োজন নেই। আমাদের জাতি সত্তার রক্ষা কবচ সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে এনে দেশের জনগণের জন্য আরও ভালো কিছু করা সম্ভব হবে।”
তিনি আরো যোগ করেন, “এমনকি আওয়ামী আমলের সংশোধনীগুলো বাতিল করারও দাবি জনগণের। দেশের সংবিধানে ভারতের আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদী প্রভাব প্রতিরোধের জন্য সেই সংশোধনীগুলো বাতিল করতে হবে।”
এছাড়া, গত ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে আরও স্পষ্ট বক্তব্য আসা উচিত ছিল। তিনি বলেন, “এখনো পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়নি, ২০২৫ বা ২০২৬ সালেও হতে পারে, কিন্তু এমন সংশয়জনক কথা দেশের জনগণের জন্য শঙ্কার সৃষ্টি করছে।”
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, “নির্বাচন শুধু তারিখ নির্ধারণের ব্যাপার নয়। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশে এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলপ্রসূ হতে হবে। আমরা চাই না গত ৫৩ বছরের মত নির্বাচন হোক, জনগণও চায় না। এই নির্বাচন একটি সুষ্ঠু পরিবেশে হতে হবে, যাতে জাতীয় সংহতি আরও শক্তিশালী হয়।”