বরিশাল অফিস :: কৃষি কাজের পাশাপাশি গোল গাছের রস থেকে গুড় উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকরা। প্রতি বছর শীত মৌসুমে গোল গাছের রস সংগ্রহ করে বড় চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় উৎপাদন করে তারা। এছাড়া গোল গাছের পাতা দিয়ে ঘরের ছাউনি তৈরি ও ডাল জ¦ালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গোল গাছ উপকূলীয় অঞ্চলে লোনা পানিতে জন্ম নেয়া একটি বিশেষ প্রজাতির গাছ। এ গাছের নাম গোলগাছ হলেও দেখতে কিছুটা নারিকেল পাতার মত। এর ডগা থেকে বেরিয়ে আসে মিষ্টি রস। সেই রস দিয়ে তৈরি হয় গুড়। সুস্বাদু এই গুড়ের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় শতাধিক কৃষক এই গুড় তৈরির কাজে জড়িত।
প্রতি বছরই শীত মৌসুমে সূর্য ওঠার সাথে সাথে কৃষক বেড়িয়ে পড়েন এ গাছের রস সংগ্রহ করতে। এরপর বাড়ির উঠানে বসে শুরু হয় রস দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। আর সেই গুড় স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করেন তারা।
গোল গাছের রস থেকে উৎপাদিত গুড়ের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিন্ময় হাওলাদার।
সরকারিভাবে গোল গাছ রোপনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় বন বিভাগ।
গোল গাছের ঐতিহ্য রক্ষা ও উপকূলীয় গুড় উৎপাদনকারীদের সহায়তার করার কথাও জানিয়েছে বন বিভাগ।