বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পরে ৪ টি ট্রলার ডুবি মহিপুরের ১ টি আলিপুরের ১ টি বাশখালির ১টি নলী বন্দরের ১টি ট্রলার ডুবি ডুবির ঘটনা ঘটেছে। অপর একটি ট্রলারে জেলেদের উদ্ধার করতে পারলেও ডুবে যাওয়া ট্রলার ৪ টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে কুয়াকাটা থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ঢেউয়ের তান্ডবে ডুবোচরে বিভিন্ন এলাকায় আটকে ট্রলার গুলো ডুবে যায়। উদ্ধার হওয়া সকল জেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক মৎস্য বন্দর আলীপুরের খলিল মিয়া। উদ্ধার হওয়া জেলেদের সকলের বাড়ি আলীপুর ও মহিপুর এলাকায় বলে মৎস্য বন্দর সুত্রে জানাগেছে।
ট্রলারের মাঝি একলাছ উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকালে মাছ শিকারের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় তারা। দুইদিন থাকার পরে সমুদ্রে ঝরের কবলে ট্রলার ডুবে যায় । আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে কুয়াকাটা সৈকত থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ডুবোচরে প্রচন্ড ঢেউয়ের তান্ডবে তলা ফেটে গিয়ে ট্রলারটি গুলো ডুবে যায়। তাদের পিছনে থাকা তীরে ফিরে আসা অপর একাদিক ট্রলারে তাদের সকলকে উদ্ধার করে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক খলিল মিয়া জানান তার ট্রলার ডুবিতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে ট্রলারের মাঝি মাল্লারা প্রানে বেঁচে আছে এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানান তিনি।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, লগুচাপ সৃস্টি হওয়ায় সমুদ্র প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে। ঝড়ো বাতাসে সমুদ্রে টিকতে পারছেনা। সমুদ্রে থেকে বেশিরভাগ ট্রলার আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন প্রেতাশ্রয়ে আশ্রয় নিয়েছে।