পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে সব কিছুতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়াও পানির নিচে তলিয়ে আছে আমন ক্ষেত। অনেক কৃষকের আমনের বীজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। চারা রোপণে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বর্ষাকালীন সবজি চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রতিদিন দুই দফা জোয়ারে নিম্নাঞ্চলের ঘর বাড়ি প্লাবিত হচ্ছে।
কলাপাড়ার নাচনাপাড়া এলাকার বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী রুবেল ও সাইদ মিয়া জানান, প্রতিদিন দুই দফায় জোয়ারের পানি ভাসিয়ে দিচ্ছে। আমরা বেশ ভোগান্তিতে রয়েছি।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের কৃষক ইদ্রিস হোসেন জানান, আমাদের এখানকার বেশির ভাগ জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকের বীজ পচে গেছে। এদিকে চারা রোপণের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। পানির কারণে এখন চারা রোপণ করতে পারছি না।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যে লঘুচাপটি অবস্থান করছিলো সেটি গুরুত্বহীন হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সাথে মিলিত হয়েছে। তবে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।