পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর মানুষের বেশ কয়েক দিনের তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) বছরের সর্বোচ্চ গরম অনুভূত হয়েছে জেলার কলাপাড়া উপজেলায়। এ উপজেলায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে কলাপাড়া ঝড় সতর্কীকরণ রাডার স্টেশন। আজ এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া ঝড় সতর্কীকরণ রাডার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার শরীফ।
আরো পড়ুন : পটুয়াখালী মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে কেমন চিকিৎসক হবেন?
ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন ফুটপাতের দোকানদার, ঠেলাগাড়িচালক, অটোরিকশা চালক, ভ্যান-অটোরিকশার চালকসহ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
তীব্র গরমে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আসা পর্যটকদের চোখে-মুখে ছিল বিরক্তির ছাপ। একটু স্বস্তির আশায় ডাব ও শরবতের দোকানে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
কলাপাড়া পৌর শহরে ভ্যানচালক হোসাইন মিয়া বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে যাত্রী টানতে পারছি না। রোদে বারবার তৃষ্ণা পাচ্ছে। শরীরটারে শান্তি দিতে দুই গ্লাস শরবত খেলাম। এভাবে গরম পড়লে ভ্যান চালানো বন্ধ করে দেয়া লাগবে।’
কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘শরীর ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছে। কোনো উপায় না পেয়ে এখন ডাব খাচ্ছি। তাতেও তৃষ্ণা মিটছে না।’
কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি ও শসার চাষ করেছি। রোদে গাছের গোড়া শুকিয়ে যাচ্ছে। রোদের তেজ আরও বাড়লে গাছ মরে যাবে। তাহলে আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়ব।’
আরো পড়ুন : দোকান ঘর ধুয়ে ঘরে ফেরা হলো না জামালের
কলাপাড়া ঝড় সতর্কিকরণ রাডার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার শরীফ বলেন, ‘আজ কলাপাড়ায় আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এ জেলায় এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে উপকূলে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাবে। উপকূলে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো সময় ঝড়ো হাওয়া বা ঝড়ো বৃষ্টি বয়ে যেতে পারে।’