পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উপজেলার টিয়াখালীতে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সূর্যমুখী চাষ ও বাজারজাতকরন বিষয়ক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা বারোটায় পশ্চিম টিয়াখালী গ্রামে এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে আর্ন্তজার্তিক ধান ইনস্টিউট (ইরি)।
ইরি’র এআরডিও (এগ্রিকালচারাল রিচার্স এন্ড ডেভলপমেন্ট অফিসার) মানিক দেবনাথ সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিধি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষনা ইনস্টিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খাইরুল বাশার।
আরো পড়ুন : চর বিজয় যেন লাল কাঁকড়া আর অতিথি পাখির নির্ভরযোগ্য সাম্রাজ্য
বক্তারা, গুনগত ও মানসম্পন্ন তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানোসহ পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার পরামর্শ দেন। স্বল্প মেয়াদী ধান চাষের পাশাপাশি তেল জাতীয় ফসল সূর্যমুখী, বাদাম, সরিষাসহ অন্যান্য ফসল চাষের জন্য উসাহিত করেন।
এসময় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল প্রদর্শনসহ ফসল চাষের আর্থিক সুবিধার বিষয় তুলে ধরেন।, ফসল চাষে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধানের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
উত্তর ঠিয়াখালী গ্রামের কৃষক জামাল হাওলাদার বলেন, আমন ধানের পরে এসব জমি পতিত পড়ে থাকত। ইরির পরামর্শ ও সহযোগিতায় সেই জমিতে বাদাম, সরিষা, আলু চাষ করেছি। এখন সূর্যমুখী ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষায়।
একই গ্রামের কৃষক খলিল মৃধা, সাইফুল ইসলাম বলেন, ধান চাষ করে সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরাতো। এখন বারো মাস সবজি চাষে আর্থিক সাবলম্বীতা ফিরে পাচ্ছি।
আরো পড়ুন : বাউফলে পুরোনো মরিচা পড়া লোহা দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ
আর্ন্তজার্তিক ধান ইনস্টিউট (ইরি) এগ্রিকালচারাল রিচার্স এন্ড ডেভলপমেন্ট অফিসার) মানিক দেবনাথ বলেন, পটুয়াখালী জেলার মাঠিতে লবনাক্ততা বেশি। তাই ফসলের সঠিক জাত ও সময় নির্বাচন করে কৃষকদের চাষের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। এরমাধ্যমে এক ফসলী এসব জি কে চার ফসলে রূপান্তর করা হচ্ছে।