মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগেও নিজের ভোট নিয়ে আশংকায় ছিলেন পটুয়াখালী- মির্জাগঞ্জ ও দুমকীর সাধারণ ভোটাররা।
কিন্তুু বিজিবির প্রতিদিনের নির্বাচনী টহল দেখে সুষ্ঠু ভোটের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন ভোটাররা।
হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিজিবির অব্যাহত টহল ব্যবস্থা দেখে তার মনের মধ্যে যে আশংকার জায়গা ছিলো তা থেকে বের হয়ে স্ব ইচ্ছায় ভোট দেয়ার প্রতিশ্রতি নিচ্ছেন তিনি । বিজিবির টহলে ধীরে ধীরে পরিবেশ ভাল হচ্ছে। আগের মত তিনজন করে মোটরসাইকেলে মহড়া দেখা যাচ্ছেনা। এছাড়া মোড়ে মোড়ে আড্ডাবাজদেরও দৌরাত্মও কমে গেছে আগের থেকে। মনে হয় ভোট সুষ্ঠু ভাবে দিতে পারব।
এদিকে শুধু সাইফুল ইসলাম একা নয় তার মত অনেক ভোটাররাই এখন ৭জানুয়ারীর ভোটের পরিবেশ নিয়ে নতুন করে আশার আলো দেখছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর ৮টি উপজেলায় দশ প্লাটুন বিজিবি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টহল দিচ্ছেন। ম্যাজিষ্ট্রেটসহ বিজিবির টহল শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামেও চলছে। বেসামরিক লোকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি বিজিবির সদস্যরা টহল তৎপরতা চালাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিজিবির টহল তৎপরতায় কমে গেছে অহরহ মোটরসাইকেলের মহড়া। পাড়া মহল্লায় আড্ডাবাজদের তৎপরতাও আগের মত নাই। সবাই এখন নির্বাচনী ক্যাস্পিং নিয়ে ব্যস্ত।
বিজিবির একটি সূত্র জানায়, ৭তারিখের নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষে ভোটের পরিবেশ ভোটারদের অনুকুলে আনার লক্ষে, আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে অন্যান্য বাহিনীর মত বিজিবির সদস্যরাও টহল ব্যবস্থার তৎপরতা অব্যাহত রাখছেন। প্রতিটি উপজেলায় ১প্লাটুন বিজিবি সদস্য প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচনের পরও তাদের এ ধরনের টহল ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে সূত্রটি জানায়।