বরিশাল অফিস: বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত জমিতে চাষের উপযোগী পাটের দুটি জাত উদ্ভাবন করেছে পটুয়াখালী পাট গবেষণা উপকেন্দ্রের গবেষকরা।
লবণাক্ত জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে এ পাট চাষে সফলতাও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে খুশি স্থানীয় কৃষকরা। লবণাক্ত জমিতে পাট চাষ করে বাড়তি আয়ের পথ খুলেছে তাদের।
পটুয়াখালীর পাট গবেষণা উপকেন্দ্রে ২০০১ সালে শুরু হয় উপকূলীয় লবণাক্ত ও দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় চাষের উপযোগী পাটের জাত উদ্ভাবনের গবেষণা কার্যক্রম। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা দু’টি লবণ সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল জাতের পাট উদ্ভাবনে সফল হয়। ২০১৩ সালে বিজেআরআই দেশি পাট-৮ এবং ২০২৩ সালে বিজেআরআই দেশি পাট-১০ উদ্ভাবন করে করে তারা। পরে বরিশাল বিভাগের পাঁচ জেলার ৪০০ কৃষককে প্রশিক্ষন দেওয়া হয় এ দুটি জাতের পাট চাষের। প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা মিলেছে।
পতিত জমিতে পাট চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা।
প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষক পাট চাষে এগিয়ে আসবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।
লবণাক্ত ও পতিত জমিতে চাষ উপযোগী অন্য ফসলের জাত উদ্ভাবনেও গবেষণা চলছে বলে জানালেন তারা।