পটুয়াখালী প্রতিনিধি:: ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর পটুয়াখালীর মাছ বাজারে স্বাভাবিক সরবরাহ ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিনের এই অবরোধের কারণে মাছের বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে অবরোধ শেষে ফের ট্রলারগুলো সমুদ্রে যাত্রা শুরু করেছে এবং নদীতেও মাছ ধরা শুরু হওয়ায় বাজারে মাছের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দামও কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকেই পটুয়াখালীর বিভিন্ন বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের মাছের সরবরাহ দেখা গেছে। ইলিশ, চিংড়ি, পাঙ্গাস, রুইসহ নানা প্রজাতির মাছের উপস্থিতি ক্রেতাদের মধ্যে আনন্দ তৈরি করেছে। বাজারে মাছের সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে দামও ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে এসেছে বলে জানান তারা।
বর্তমানে বাজারে ইলিশের দাম প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, পাঙ্গাস ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং রুই ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাদা মির্শা মাছের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
মাছ ব্যবসায়ী দুলাল হাওলাদার বলেন, “অবরোধের সময় মাছের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় দাম এখন ক্রেতাদের সামর্থ্যের মধ্যে এসেছে। ইলিশের দামও ৪৫০ থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে রয়েছে, যা অবরোধের সময় ১৫০০ টাকার ওপরে ছিল।”
আরেক ব্যবসায়ী জব্বার ফকির জানান, “বর্তমানে বাজারে নদী ও চাষের মাছ আসছে। গভীর সাগরের মাছ ফিরলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সরবরাহ আরও বাড়বে এবং দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।”
মাছ কিনতে আসা ক্রেতা হাসান কবির জানান, “অবরোধের কারণে মাছের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল। এখন মাছের দাম তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি।”
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, “অবরোধের ফলে মাছের প্রজনন ও সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা পরিবেশ ও প্রজনন সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অবরোধ শেষ হওয়ার পর বাজারে ভালো মাছ পাওয়া যাচ্ছে, যা ক্রেতাদের জন্যও উপকারী।”